ঢাকা, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

পাগলামি করুন ভালো থাকুন

রত্না দে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১০
পাগলামি করুন ভালো থাকুন

কতদিন পাগলামি করেননি বলুন তো?
এই প্রশ্নটা বিশেষত তাদের জন্য যারা এই আধুনিক জীবনে তাল মেলাতে মেলাতে বড় ক্লান্ত। জীবনে সব থেকে যেটা বেশি প্রয়োজন সেটা হলো ভালো থাকা, যেটা কিনা আমরা ভুলে যাই জীবনেরই তাড়নায়।

ভালো থাকতে লাগবে একটু চেষ্টা যার শুরু পাগলামি দিয়ে। নিজেকে শিশু মনে করে দেখুন তো একবার...

  • পাগলামির শুরুটা হতে পারে বাংলা সিনেমা দেখে। যেমন- ‘প্রেমের মরা জলে ডোবেনা (দ্য সাবমেরিন)। তবে আপনার সঙ্গীকে অবশ্যই হতে হবে অগতানুগতিক। সঙ্গী নির্বাচন করুন এমন একজনকে যার কথা আপনি ভাবতে পারেন না।  

 

  • গরমকাল পাগলামির শ্রেষ্ঠ সময়। খুব মন খারাপ বা বিরক্ত, তাহলে ৩-৪ বার গোসল করুন। শ্যাম্পু দিয়ে কয়েকবার মাথা ধোবেন এবং চিৎকার করে কোনো গান গাইবেন। অবশ্যই যেন সেটা ঝরনার নিচে হয়। অথবা যদি সুযোগ পান বন্ধুদের নিয়ে নেমে পড়তে পারেন পুকুর অথবা সুইমিং পুলে। সব ভুলে আপনিও মেতে উঠতে পারেন নির্মল আনন্দে।   

 

  • পাগলামির শ্রেষ্ঠ উপায় অন্যকে ভয় দেখানো। যেমন- তেলাপোকা, টিকটিকি বা মাকড়সা (মোটামুটি জগদ্ববিখ্যাত ভয়ের বস্তু)। ঠিক করুন পরিবারের কাকে ভয় দেখাবেন। উঠে পড়ুন মৃত তেলাপোকা নিয়ে আর শুরু করে দিন কার্যক্রম। বিশেষ সতর্কবাণী : বস্তুটি যেন সত্যিই মৃত হয়, না হলে...! তবে এমন ভয় দেখাবেন না, যা বড় কোনো দুর্ঘটনার কারণ হয়।

 

  • কারো যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জীবন, তাহলে এক কাপ চা বানান। চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন এবং যত গালিগালাজ আছে করুন চা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। ঠান্ডা হয়ে গেলে ফেলে দিন।

 

  • হঠাৎ একদিন ঘণ্টা হিসেবে রিকশা ভাড়া করুন এবং রিকশাওয়ালা ভাইয়ের সাথে সুখ-দুঃখের আলাপ করুন ললি খেতে খেতে। কখনো রিকশা থামিয়ে ফুটপাথের দোকান থেকে আপনারা দুজন দু কাপ চা খেয়ে নিতে পারেন। দেশ, জাতি, সরকার নিয়ে যে আপনি ইদানীং খুব চিন্তায় আছেন, সেটা তাকে বলুন এবং অবশ্যই তার মতামত নিন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই চালের কেজি কত জিজ্ঞেস করবেন। আবার সুযোগ পেলে রিকশাওয়ালা ভাইকে একটু বিশ্রাম দিয়ে আপনিই নিয়ে নিতে পারেন তার দায়িত্ব।


পাগলামির কিন্তু শেষ নেই। সেই সাথে পাগলামিও কখনও টিপস দিয়ে হয় না। এইখানে শুধু একটু ধারণা দেওয়া হলো। আপনি নিজে আবিষ্কার করুন কোনো পাগলামিতে আপনি বেশি আনন্দ পান।

তবে লক্ষ রাখবেন আপনার আনন্দ যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। যতক্ষণ না মনে হবে যে ‘আপনি কি পাগল! এ সব কী করছেন!’ ততক্ষণ চালিয়ে যান আর প্রাণ খুলে হাসুন। জীবন খুব ছোট ও ঝামেলাপূর্ণ। তাই পাগলামি করুন ও ভালো থাকুন।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৫১৫, জুলাই ২৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।