ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

সঙ্গীতজ্ঞ ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তীর চিরবিদায়

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১১

লোকসংগীত বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী আর বেঁচে নেই। ১৫ আগস্ট সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর।

অধ্যাপক ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তীর মরদেহ ছাত্র-শিক্ষকসহ সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অপরাজেয় বাংলার সামনে আনা হয়। এসময় ড. মৃদুল কান্তির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাা উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, রামেন্দু মজুমদার, সাদি মহম্মদ, তপন মাহমুদ, সজিদ আকবর, সালমা আকবর, রথীন্দ্রনাথ রায়, শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়, খায়রুল আনাম শাকিল, লীনা তাপসী খান  ও সঙ্গীত জগতের আরো অনেকে। এরপর তার মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের হিমাগারে রাখা হয়।

১৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে সুনামগঞ্জের নিজ বাড়িতে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে তার শেষকৃত্য।

১৯৫৫ সালে বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী। তিনি ১৯৭০ সালে সুনামগঞ্জের জুবিলী হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৯৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ চালু হলে তিনি প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৪ সালে বিশ্ব ভারতী থেকে সংগীতের ওপর পিএইচডি অর্জন করেন। ২০০৩ সাল থেকে স্টুডেন্ট ইউনাইটেড ফর রিসার্চ ইন মিউজিক্যাল অ্যাকটিভিটিজের (সুরমা) সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।

অধ্যাপক ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী রচিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘হাছন রাজা, তাঁর গানের তরী’, ‘বাংলা গানের ধারা’, ‘গানের ঝর্ণা দোলায়’ ‘লোকসংগীত’, ‘হাজার বছরের বাংলা গান’ ও ‘সংগীত-সংলাপ’। এছাড়াও সংগীতের ওপর প্রচুর সংখ্যক সম্পাদিত গ্রন্থ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় ২২১৫, আগস্ট ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।