ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

কোন রান্নায় কীভাবে কাটবেন পেঁয়াজ

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
কোন রান্নায় কীভাবে কাটবেন পেঁয়াজ সংগৃহীত ছবি।

যেকোনো রান্নায় পেঁয়াজ ও রসুন দিলে স্বাদ খোলতাই হয়ে যায়। মাছ-মাংস তো দূরের কথা সাধারণ সবজির তরকারিতে দিলে এর মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

তবে জানেন কী রান্নার স্বাদ নির্ভর করে কীভাবে আপনি পেঁয়াজ কেটে ব্যবহার করছেন তার ওপর। তাহলে চলুন জেনে নিই পেঁয়াজ কাটার নিয়ম।

রিং করে কাটা: বার্গার, স্যান্ডউইচ বা রোলের মধ্যে রিং করে কাটা পেঁয়াজ দেওয়া হয়।  এভাবে বার্গার, স্যান্ডউইচ বা রোলের মধ্যে কাটা পেঁয়াজ থাকলে প্রতিটি কামড়েই পেঁয়াজের স্বাদ অনুভব করা যায়। মুখের মধ্যে রোলের স্বাদ আর রিং করে কাটা পেঁয়াজের মেলবন্ধন তৈরি হয়। স্যালাডেও কিন্তু ঠিক এভাবে পেঁয়াজের দেওয়া হয়।

মিহি করে কাটা: মাছ বা মাংস তৈরিতে মিহি করে কেটে পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। তাহলে মাছ বা মাংসের গ্রেভি তৈরিতে একদম মিহি করে দিলে গ্রেভির স্বাদ অনেকটাই বাড়ে। অনেকে আবার মাছ বা মাংসের কালিয়াতে পেঁয়াজ বাটাও ব্যবহার করেন।

পেঁয়াজের কিমা: ধারালো ছুরি দিয়ে আমরা চপিংবোর্ডে পেঁয়াজ কাটি, তা সাধারণত মুখরোচক খাবারে ব্যবহার করা হয়। এই কিমা করা পেঁয়াজ রান্নায় ব্যবহার করলে তা কষানোর আগে গলে যায়। ফলে স্বাদ তেমন একটা হয় না। কিমা করা কাটা পেঁয়াজ সাধারণত স্যুপ রান্নার সময় বা মেরিন্যেট করতে হলে দেওয়া হয়।  

হাফ মুন করে পেঁয়াজ কাটা: পেঁয়াজের ব্যবহার করা হয় স্যালাড বা বার্গারের ক্ষেত্রে। পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে এরপর একটু মোটা করে রিং করে কেটে নিয়ে হাফ করা হয়। এই হাফ-মুন পেঁয়াজ বেশিরভাগ রাখা হয় এই পেঁয়াজ ডালে ফোঁড়ন দিতে বা মসলা কষানোর সময় ব্যবহার করা হয়। মেরিনেট করার সময়ও ব্যবহার করা হয়।

পেঁয়াজ খেলে যে উপকার হয়

কোলেস্টেরল কমায়: পেঁয়াজে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং যৌগিক বৈশিষ্ট্য শরীরে ব্যথা বেদনার বিরুদ্ধে লড়াই করে। ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এভাবে রান্না করা পেঁয়াজ হৃদরোগের জন্যও উপকারী। এতে উপস্থিত শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং রক্ত জমাট বাঁধা থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: পেঁয়াজের রসে কোয়ারসেটিন নামক একটি ফ্ল্যাভোনয়েড  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।  

হাড়ের জন্য দুর্দান্ত: পেঁয়াজ ফাইবার এবং প্রাক-বায়োটিকের একটি বড় উৎস, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। প্রাক-বায়োটিক সমৃদ্ধ একটি খাদ্য শরীরকে ক্যালসিয়ামের শোষণ উন্নত করতে সাহায্য করে যা হাড়ের জন্য দুর্দান্ত।

ঘুম ভালো: পেঁয়াজ খেলে বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে এবং ঘুমকে ভালো করতে সহায়তা করে। এছাড়া ফোলেটের উপস্থিতি পেটের রোগ নিরাময়ে ও ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।