তাফসির: আগের আয়াতে পরকালের হিসাব-নিকাশ সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছিল। আলোচ্য আয়াতে পুরস্কার ও আজাব সম্পর্কে তিনটি নীতি উল্লেখ করা হয়েছে।
আলোচ্য আয়াতে বর্ণিত দ্বিতীয় নীতি হলো, যার যার কাজের ফল সে নিজেই ভোগ করবে। পার্থিব জগতে বিভিন্ন কৌশলে একজনের দোষ অন্যজনের ঘাড়ে চাপানো যায়, আল্লাহর আদালতে এ ধরনের কাজের কোনো সুযোগ নেই। প্রত্যেকেই নিজের অপরাধের শাস্তি ভোগ করবে। কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না। দুনিয়ায় যে যেমন কাজ করবে, পরকালে সে তার কাজ অনুযায়ী ফল ভোগ করবে। ভালো কাজ করলে ভালো প্রতিদান পাবে আর মন্দ কাজ করলে ফলও পাবে অনুরূপ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে, সে তার শাস্তি পাবে এবং সে আল্লাহ ছাড়া নিজের কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাবে না। আর নারী-পুরুষের মধ্য থেকে যারাই সৎকর্ম করে এবং বিশ্বাসী হয়, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। অণু পরিমাণও তাদের প্রতি জুলুম করা হবে না। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১২৩-১২৪)
আয়াতে বর্ণিত তৃতীয় নীতি হলো, মহান আল্লাহ রাসুল না পাঠিয়ে কোনো জাতিকে তাদের কুফরি ও পাপাচারের জন্য শাস্তি দেন না। এটা আল্লাহর চিরাচরিত নীতি। এটা মানুষের ওপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। তিনি প্রত্যেক জাতির জন্য তাঁর বাণী প্রচারক পাঠিয়ে মানুষকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহর এ নীতি অনুযায়ী যুগে যুগে নবী ও রাসুল পাঠানো হয়েছে। তাঁরা মানুষকে সত্যের পথে আহ্বান করেছেন। নবী-রাসুলদের উত্তরাধিকারীরাও এই দাওয়াতি কার্যক্রমে শামিল হয়েছেন। নবী-রাসুলরা পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি। পৃথিবীতে আল্লাহ তাআলার বাণী প্রচার করাই নবী-রাসুলদের কাজ। নবী-রাসুলদের আনুগত্য মূলত আল্লাহর আনুগত্য। নবী-রাসুলদের প্রধান কাজ হলো আল্লাহর পথে আহ্বান করা। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘বলে দাও! এটাই আমার পথ। আমি (মানুষকে) আল্লাহর দিকে ডাকব। ’ (সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১০৮)
গ্রন্থনা: মাওলানা আহমদ রাইদ
রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৯
এমএমইউ