ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি কাশেমের জামিন বহাল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি কাশেমের জামিন বহাল 

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ট্রাস্টি এম এ কাশেমকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদন খারিজ করে সোমবার (২৮ নভেম্বর) আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুরাদ রেজা ও শাহ মঞ্জুরুল হক।

এর আগে ১০ নভেম্বর সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট।

পরে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
তবে অপর সাবেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন বহাল রেখেছিলেন।

পাশাপাশি এম এ কাশেমের জামিন নিয়ে দুদকের আবেদন শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। সে অনুযায়ী আজ আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হয়।

হাইকোর্টের জামিনাদেশের পরে আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক জানিয়েছিলেন, দুটি শর্তে তাদের জামিন দিয়েছেন।

এগুলো হলো-অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না।

এর আগে পৃথক আবেদনে ২ আগস্ট তাদের কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

গত ২২ মে তাদের আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরদিন তাদের বিচারিক আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তারা কারাবন্দি ছিলেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে, তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।

আসামিরা হলেন- তৎকালীন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন-সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
ইএস/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।