ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বনানী থানার ওসির নামে তাবিথের মামলা খারিজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২২
বনানী থানার ওসির নামে তাবিথের মামলা খারিজ তাবিথ আউয়াল

ঢাকা: হামলার সময় সহযোগিতা না করার অভিযোগে বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম মিয়ার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (০৮ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।

 

একই আদালতে ৭ নভেম্বর তিনি মামলার আবেদন করেন। আবেদনে মারধরের অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৫ জনকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়। এতে ২০১৩ সালের নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনের ধারা ১৩ এর (১), (২) এর খ ও গ ধারায় অপরাধ আমলে গ্রহণের আবেদন করা হয়।

তাবিথ আউয়ালের পক্ষে আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানি করেন। আদালত শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য রাখেন। সে অনুযায়ী মামলা গ্রহণ করার মতো কোনো উপাদান না থাকায় আদালত মামলা খারিজ করে দেন।  

মামলার আবেদনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান, বনানী থানা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি ও ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির, শ্রমিক লীগ কর্মী বাবু,  শফিক, বনানী থানার যুবলীগ কর্মী শ্যামল, দোলন, রনি, ববি, সাগর, মামুন এবং ফারুকসহ ২০০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করার আর্জি জানানো হয়েছিল।  

এছাড়া বনানী থানার আরও ২০-৩০ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধেও হামলায় সহায়তার অভিযোগ আনা হয়।  
 
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ  গ্যাস, ডিজেল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পন্যের দাম বাড়াসহ দলীয় তিন নেতার নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ১৭ সেপ্টেম্বর গুলশান ২ এর গোলচত্বরে মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এ সময় কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেন।  

এ সময় বাদী বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য তাবিথ আউয়াল শান্তিপূর্ণ মোমবাতি প্রজ্বলন কর্মসূচির নিশ্চিতের জন্য বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।  

এরপর আওয়ামী লীগের হামলায় তাবিথ আউয়ালসহ বিএনপির অনেকে  গুরুতর আহত হন। তাই এ অভিযোগে মামলার আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২২ 
কেআই/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।