ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন আদালতে আসামিরা।

বগুড়া: বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার ২৬ বছর পর স্বামীসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

 

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া শেরপুর উপজেলার পালসন গ্রামের মৃত আরিফ উল্ল্যাহ ফকিরের ছেলে জিল্লুর রহমান, মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে গোলাপ হোসেন ও খারতাপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ মণ্ডল।  

নিহত গৃহবধূর নাম চায়না খাতুন। তিনি দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাপ হোসেনের স্ত্রী।  

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে বাবার অমতে চায়নাকে বিয়ে করে গোলাপ হোসেন। বিয়ের পর তারা শেরপুরের মির্জাপুরে বাস করছিলেন। সম্পর্কের বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের এক বছর পর বিচ্ছেদও হয়। কিন্তু তালাক হলেও চায়না ও গোলাপের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। এ বিষয়টি নিয়ে গোলাপকে তার পরিবার চাপ সৃষ্টি করছিল। বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল। এসব কারণে গোলাপ চায়নার সঙ্গে সম্পর্ক একেবারে বিচ্ছিন্ন করতে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ রাতে উপজেলার পালশান গ্রামে চায়নাকে ডেকে নিয়ে আসে গোলাপ। এ সময় গোলাপকে সহযোগিতা করার জন্য জিল্লুর ও ফরহাদ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে গল্প করার সুযোগে চায়নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তারা।  

এরপর আসামিরা চায়নার মরদেহ ওই গ্রামের এক বাড়ির সেফটি ট্যাংকির ভেতরে লুকিয়ে রাখে। এ ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহ পর গ্রামবাসী মরদেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে চায়নার পরিবার মরদেহ শনাক্ত করে। পরে সেদিনই তার ভাই হাফিজার রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় দুই বছর পর জুন মাসে চার্জশিট দেয় পুলিশ।  

এদিকে মামলায় দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলছিল। এর মাঝে মামলার আরেক আসামি গোলাপের বাবা জহুরুল হক মারা যান। পরে বুধবার মামলার তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও এপিপি নাছিমুল করিম হলি জানান, দীর্ঘদীন পর একজন গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় তার পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছেন। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট৷

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।