ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নুসরাতের করা ‘মুনিয়া হত্যা মামলা’ অসত্য ও হয়রানিমূলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
নুসরাতের করা ‘মুনিয়া হত্যা মামলা’ অসত্য ও হয়রানিমূলক

ঢাকা: মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যাই করেছেন, সেই মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।  

বুধবার (১৯ অক্টোবর) পিবিআই পরিদর্শক গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুনিয়ার মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে তার বোন নুসরাত তানিয়া যে মামলা করেছিলেন, তার কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি। মোসারাত জাহান মুনিয়া আসলে আত্মহত্যা করেছেন।

এর ফলে একই ঘটনায় দ্বিতীয় মামলাটিও অসত্য ও হয়রানিমূলক বলে প্রমাণিত হলো।

অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকেই অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরুজা পারভীনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন।

গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে গত ২৮ এপ্রিল রাতে মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে একটি হয়রানিমূলক অসত্য মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গুলশান থানার পুলিশ তদন্ত করে এবং তদন্ত করে আত্মহত্যার প্ররোচনার কোনো আলামত পায়নি মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এমনকি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, মুনিয়া আসলে আত্মহত্যা করেন।  গত বছরের জুলাই মাসে আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়।

কিন্তু এই চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মুনিয়ার বোন নুসরাত তানিয়া একটি নারাজি দরখাস্ত দেন। সে নারাজি দরখাস্তটিও বাতিল করে দেওয়া হয়।  

পরে গত সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মুনিয়ার বোন নুসরাত জাহান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

দ্বিতীয় দফা হয়রানিমূলক মামলা করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ আরও ৮ জনের নামে। এই মামলায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ বেশ কয়েকজনকেও জড়ানোর চেষ্টা করা হয়।  

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রথম মামলায় গুলশান থানা যে তদন্ত করেছে সেই তদন্তেই প্রমাণিত হয়েছে এটি আত্মহত্যার প্ররোচনা নয় এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় ওই তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।  

আরও বলা হয়েছে, হত্যাকাণ্ড প্রমাণের মতো কোনো তথ্য-উপাত্তই বাদী উপস্থাপন করতে পারেনি। বরং এই মামলাটিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক এবং এক ধরনের চাপ প্রয়োগের কৌশল হিসেবেই করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
কেআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।