ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

শেরপুরে মাদকমামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন, অন্যজনের ১০ বছরের জেল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
শেরপুরে মাদকমামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন, অন্যজনের ১০ বছরের জেল

শেরপুর: শেরপুরে পৃথক দুটি মাদকমামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন ও অপর আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আল মামুন দুই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-শেরপুর সদর উপজেলার চরখারচর মধ্যপাড়ার মো. আব্দুল খালেক খার ছেলে মো. রাহিদুল খান ওরফে আহিদুল (৩৩) ও ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শাকিল মিয়া (৩৪)।

তাদের মধ্যে পলাতক আহিদুলকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর মো. শাকিলকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল জানান, ২০১৬ সালের ৯ মে বিকেলে ২ এপিবিএনের (মুক্তাগাছা) একটি দল অভিযান চালিয়ে চরখারচর বাজার সংলগ্ন চৌরাস্তা মোড় থেকে ৬০ গ্রাম হেরোইনসহ আহিদুলকে হাতেনাতে আটক করে। ওই সময় মনসুর খাঁ ও উসমান আলী নামে তার দুই সহযোগী পালিয়ে যান। পরে ওইদিনই এপিবিএনের সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) খ ম হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ জুন তিনজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সদর থানার তৎকালীন এসআই কামরুল হাসান। পরে উচ্চ আদালতের আদেশমূলে জামিন নিয়ে আত্মগোপন করেন আহিদুল। বিচারিক পর্যায়ে সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বুধবার প্রধান আসামি আহিদুলকে এ সাজা দেন আদালত। অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তার দুই সহযোগীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। এছাড়া ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১ (জামালপুর) এর একটি আভিযানিক দল ঝিনাইগাতী সদরের ব্রিজপাড় এলাকা থেকে স্থানীয় শাকিল মিয়াকে ৫১০টি ইয়াবা বড়িসহ আটক করে। একই দিন র‌্যাবের পক্ষ থেকে ঝিনাইগাতী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে একই বছরের ৩ আগস্ট একমাত্র আসামি শাকিল মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঝিনাইগাতী থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। এ মামলায় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাকে এ সাজা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।