ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

তারেকের পিএস অপুর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ৫ জুন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
তারেকের পিএস অপুর বিরুদ্ধে চার্জ শুনানি ৫ জুন 

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে অবৈধ অর্থায়নের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একান্ত সচিব (পিএস) মিয়া নূর উদ্দিন অপুরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চার্জ শুনানির জন্য আগামী ৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১০ মে) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান শুনানির এই দিন ধার্য করেন।

এদিন পলাতক তিন আসামি আতিকুর রহমান আতিক, মো. মাহমুদুল হাসান ও ফয়েজুর রহমানের আদালতে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য দিন ধার্য ছিল। সেই পত্রিকা বিজ্ঞপ্তির কপি এদিন রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে দাখিল করে। এরপর আদালত চার্জগঠন শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।  

ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম ছারোয়ার খান জাকির এ তথ্য জানান।  

২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় র‌্যাব-৩ এর ডিএডি (নায়েব সুবেদার) বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও ২০১৩ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৭/৩০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।  

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে মতিঝিল সিটি সেন্টারে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এবং ইউনাইটেড কর্পোরেশন অফিসে বিপুল সংখ্যক অর্থ মজুদের অভিযোগ পায় র‌্যাব-৩। সেই সংবাদ পেয়ে ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে এ এম হায়দার আলীকে (২৪) আটক করে র‌্যাব।  
এ সময় তার কাছ থেকে তিন কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করে র‌্যাব। একই কাজে ব্যবহারের জন্য আরও ৫ কোটি টাকা মানিটারি এক্সপ্রেস অফিসে রেখে আসার কথা তিনি স্বীকার করেন।  এ ঘটনায় ছয়জনসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

আসামিরা হলেন- এ এম আলী হায়দার নাফিজ, জয়নাল আবেদীন, মো. আলমগীর হোসেন, অপু, আতিকুর রহমান আতিক ও মো. মাহমুদুল হাসান। পরে চার্জশিটে এই ছয়জনের সঙ্গে মো. ফয়েজুর রহমানের নাম যুক্ত করা হয়। আসামি  অপু তারেক রহমানের পিএস ও শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী ছিলেন। আসামিদের মধ্যে আতিকুর রহমান আতিক ও মো. মাহমুদুল হাসান শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। আর ফয়েজুর রহমান উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক হন। আর নাফিজ ঘটনার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

শুনানিকালে অপুসহ কারাগারে থাকা বাকি চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ মামলায় ২০২১ সালের ১৩ জুন সাতজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে র‌্যাব। একই বছর ১২ আগস্ট মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়ে আসে। ট্রাইব্যুনাল ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।