ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি: ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি: ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল রিমান্ডে

ঢাকা: ট্রেনের অনলাইন টিকিট কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিমসহ দুইজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশ্রাফ তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামি হলেন- রেজাউল করিমের সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাট।

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে সাতদিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক শাহ আলম। শুনানি শেষে বিচারক দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

গত ২৭ এপ্রিল রেজাউল করিমকে (৩৮) আটক করে র‌্যাব-১। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই দিন রাতে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে সহযোগী এমরানুল আলম সম্রাটকেও (২৮) আটক করা হয়।  

এ সময় তাদের স্মার্টফোন থেকে বিপুল পরিমাণ ট্রেনের ই-টিকিট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

সম্প্রতি সহজ ডটকমে দায়িত্ব পাওয়া রেজাউল এর আগে সিএনএস বিডিতেও কর্মরত ছিলেন।

গত ২৮ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিটের বিপুল চাহিদা থাকে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। অধিকাংশ মানুষই অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে সকালে টিকিট ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

এমন অভিযোগে র‌্যাব-১ এর গোয়েন্দা দল কমলাপুর স্টেশন থেকে আটক সহজ ডটকমের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যে টিকিট কালোবাজারির বিষয়টি নিশ্চিত হয় র‌্যাব। পরে সহযোগী এমরানুলকে আটক করা হয়।

তিনি জানান, দীর্ঘ ছয় বছর ধরে রেলওয়ে টিকেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত রেজাউল করিম। প্রতি ঈদে ২-৩ হাজার ট্রেনের টিকিট সরিয়ে নিতেন, যা কালোবাজারে বিক্রির মাধ্যমে পরিচিতজনদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা লাভে বিক্রি করতেন তিনি।  

এছাড়া অন্যদের কাছে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা বেশি দামে টিকিট বিক্রি করতেন। এর মাধ্যমে প্রতি মৌসুমে আয় করতেন ১০-১২ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।