ঢাকা, শুক্রবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সোনালী ব্যাংকের ৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
সোনালী ব্যাংকের ৮ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড

ঢাকা: প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের আট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ রায় দেন।

অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে সোনালী ব্যাংকের এমডি এবং সিইও হুমায়ন কবীর, ডিএমডি মাইনুল হক, জিমএম মীর মহিদুর রহমান ও ননী গোপাল নাথ, ডিজিএম শেখ আলতাফ হোসেন ও মো. সফিজ উদ্দিন আহমেদ, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খানকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

এদের মধ্যে হুমায়ন কবীর, ননী গোপাল নাথ ও সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে ডিএন স্পোর্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোতাহার উদ্দিন চৌধুরী ও তার মেয়ে পরিচালক মিসেস ফাহমিদা আক্তার এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সফিকুর রহমান জনকে তিন বছর কারাদণ্ড, এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

সেই সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে তাদের আরও ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। এ তিন আসামির সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন বিচারক। সেক্ষেত্রে তাদের ৫ বছর কারাভোগ করতে হবে বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী।

এছাড়া এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত এবং বিধি মোতাবেক সমাহারে আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১১ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ২৭ মের মধ্যে রমনা থানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ডিএন স্পোর্টস লি. এর নামে পিএসসি বাবদ সৃষ্টি দেখিয়ে এক কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সেলিনা আক্তার মনি ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি ১৬ জনকে আসামি করে রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৪ সালের ২২ মে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুচ্ছাদাত। তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে এক কোটি ৪২ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪ টাকা আত্মসাতের তথ্য উঠে আসে।

২০১৫ সালের ৪ নভেম্বর ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ৬১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্য নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
কেআই/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।