ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

মেজর সিনহা হত্যা

ষষ্ঠ দফার প্রথম দিনে সাক্ষ্য দিলেন ৮ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
ষষ্ঠ দফার প্রথম দিনে সাক্ষ্য দিলেন ৮ জন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান-ফাইল ছবি

কক্সবাজার: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ৬ষ্ঠ দফার প্রথম দিনে পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামসহ ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এনিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৪৩ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এই মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে।  

এদিন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন কনস্টেবল পলাশ ভট্টাচার্য, পুলিশ সদস্য আবু সালাম, হিরো মিয়া ওসালা মারমা, নবী হোসেন আবুল কালাম ও শহীদ উদ্দিন।

এর আগে সকাল ১০টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, সোমবার মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার ৬ষ্ঠ দফায় নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন করা পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এদিন তিনি ছাড়াও মোট ১৯ সাক্ষী  আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   তাদের মধ্যে আটজনের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়েছে।

আদালতে এস আই আমিনুল ইসলাম তার  জবানবন্দিতে বলেন, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে  ঘটনার দিন কক্সবাজার সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে ডিউটিতে যান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন কনস্টেবল পলাশ ও শুভ। হাসপাতালের ডোম মনু ও ধলার সহযোগিতায় মেজর (অব.) সিনহার মরদেহের  সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। সে সময় নিহতের ব্যবহৃত দ্রব্য সামগ্রীর জব্দ তালিকা তৈরি করেন। পরদিন ১ আগস্ট  বিকেলে  রামু ক্যান্টনমেন্টের সার্জেন্ট জিয়াউর রহমান ও আনিসুর রহমানের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায়  অবসর নেওয়া মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

সে সময় তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ আটক করে। এরপর নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করা হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে এই দুজন জামিনে মুক্তি পান।

সিনহা হত্যার ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পর পরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায় ও একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচদিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের নামে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বাংলাদেশ সময়- ২১৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫,২০২১
এসবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।