ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পাইকগাছায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
পাইকগাছায় হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন

খুলনা: খুলনার পাইকগাছা উপ‌জেলার কাটিপাড়া বাজা‌রে দুর্বৃত্তের ছোড়া গু‌লি‌তে গ্রাম্য চৌ‌কিদার আব্দুল জ‌লিল হত্যা মামলায় দুই আসা‌মি‌কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দি‌য়ে‌ছেন আদালত।  

একই স‌ঙ্গে তা‌দের তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা জ‌রিমানা, অনাদা‌য়ে আরও এক বছ‌রের কারাদণ্ড দি‌য়েছেন আদালত।

 

বৃহস্প‌তিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনা‌লের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা ক‌রেন। রায় ঘোষণার সময় আসা‌মিরা পলাতক ছি‌লেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হ‌লেন- সাতক্ষীরা জেলার তালা উপ‌জেলার রেজওয়ান গোলদা‌রের ছে‌লে শহিদুল গোলদার ও পাইকগাছা উপ‌জেলার শ্রীকণ্ঠপুর গ্রা‌মের সুলতান শে‌খের ছে‌লে আনোয়ারুল শেখ।  

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ২০০৪ সালের ২১ জানুয়ারি সকাল থেকে কাটিপাড়া বাজার এলাকায় চেকপোস্ট বসায় পাইকগাছা থানা পুলিশ। তল্লাশির একপর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাজারে পৌঁছায় পাইকগাছার তিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। সে সময় পুলিশ তাদের গতিরোধ করে। এবং পুলিশ সদস্য দীপংকর তাদের শরীর তল্লাশি যায়। সে সময় পিস্তল বের করে দীপংকরের গলায় ঠেকিয়ে ধরে সন্ত্রাসী শহিদুল গোলদার। শুরু হয় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। এটা দেখে সেখানে উপস্থিত গ্রাম্য চৌকিদার জলিল এগিয়ে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে শহিদুল। গুলিটি জলিলের মাথা ভেদ করে বের হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পর পরই পুলিশের অন্য সদস্য জামাল এগিয়ে গেলে তার কাছ থেকে রাইফেল কেড়ে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসী রাশেদ গোলদার ও আনোয়ার। তবে পুলিশের হাতে আটক হয় ঘাতক শহিদুল গোলদার।

এ ঘটনায় নিহত আব্দুল জ‌লিলের স্ত্রী বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- শহিদুল গোলদার, রাশেদ গোলদার ও আনোয়ার।

ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশের খোয়া যাওয়া রাইফেল ও সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় তিন দফায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। পরবর্তীসময়ে নিহতের স্ত্রীর নারাজি আবেদনের কারণে দ্বিতীয় দফায় আরও তিন জনের নাম অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। তারা হলেন- ওই এলাকার মজিদ গোলদার, আজিজ গোলদার ও ফজলুর রহমান মোড়ল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এমআরএম/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।