ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জামিন জালিয়াতি: আইনজীবী রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
জামিন জালিয়াতি: আইনজীবী রিমান্ডে

ঢাকা: বগুড়ায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরিতে জড়িত থাকার দায়ে গ্রেফতার ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীবের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এ আদেশ দেন।

এদিন দুপুরে শাহবাগ থানার পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

বুধবার (২৩ জুন) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা আইনজীবী রাজুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে।

জানা যায়, বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় সিআইডির তদন্তে চারজনের নাম উঠে আসে।  

তারা হলেন, ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব, বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আলম ইসলাম, ঢাকা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবীর সহকারী মো. সোহাগ। পরে কারাগারে থাকা সোহাগ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে গত ৯ জুন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত দুই আইনজীবী ও কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের জাল আদেশ দাখিল করে বগুড়ার আদালত থেকে জামিন নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় হাইকোর্ট গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে যুবলীগের সহসভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও কাউন্সিলর মো. আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।  

ওই আদেশ বাস্তবায়ন করে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়াতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বগুড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনের জামিন নেওয়ার একটি আদেশনামা (জামিন আদেশ) তৈরি করা হয়।

পরে এই ভুয়া আদেশের তথ্য সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।