ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

অপরাধী যাতে নিস্তার না পায়: প্রধান বিচারপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
অপরাধী যাতে নিস্তার না পায়: প্রধান বিচারপতি

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, লক্ষ্য রাখতে হবে, নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে সাজা না পায়, আর অপরাধী যাতে নিস্তার না পায়।

রোববার (১৯ জুন) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জাতীয় ইনকোয়ারি কমিটির নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ রোধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় ৬৪ জেলার জেলা ও দায়রা জজ, সকল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ২৪৯ জন অংশগ্রহণ করেন।

পরে এ বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয় মানবাধিকার কমিশন।

সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সার্বক্ষণিক সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধ সুদীপ্ত মুখার্জি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতন সংশ্লিষ্ট বিচার দ্রুত ও সঠিকভাবে নিস্পত্তির লক্ষ্যে বিচারকদের দিক-নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ। ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য হলেই ধর্ষককে শাস্তি দেওয়া যায়। এসকল মামলার দ্রুত বিচারের লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আমি আশা করব, ধর্ষণের মামলা পরিচালনাকালে কারও দ্বারা আদালত প্রভাবিত হবে না। বিচারহীনতা/ বিচারে বিলম্বের অভিযোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। রায় প্রদানে কালক্ষেপণ করা কাম্য নয়। প্রয়োজনে ভুক্তভোগীকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে সাজা না পায় আর অপরাধী যাতে নিস্তার না পায়।

ধর্ষণের মামলার শাস্তি দ্রুত কার্যকর করার আহ্বান জানিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নুসরাত ধর্ষণ ও হত্যা মামলার দ্রুত রায় দেখেছি যা প্রশংসনীয়। কিন্তু রায় এখনো কার্যকর হয়নি। সকল ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন মামলার দ্রুত রায় এবং রায় কার্যকর হলে এ ধরনের জঘন্য অপরাধ কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কমিশনের সম্মানিত সদস্য সাবেক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগমকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্য-বিশিষ্ট ন্যাশনাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করেছে কমিশন। কমিটি ইনকোয়ারি শেষে কমিশনের সাথে যৌথভাবে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন ও সরকারকে সুপারিশ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।