ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আবদুল মতিন খসরুর জীবন ও কর্ম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
আবদুল মতিন খসরুর জীবন ও কর্ম

ঢাকা: বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু (৭১) পাঁচ বারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক আইনমন্ত্রী। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল চারটা ৫০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন তিনি।

উচ্চ আদালতের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন।

এলএলবি এবং বিকম ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৭৮ সালে কুমিল্লা জজকোর্টে যোগদান করেন এবং ১৯৮২ সালের ১৩ জুলাই হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১০ সালের ২৪ আগস্ট তিনি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।

এর আগে ১৯৭১ সালে সক্রিয়ভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন আবদুল মতিন খসরু।

পরবর্তীতে ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে মোট ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এর মধ্যে ৭ম সংসদে (১৯৯৬-২০০১) আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তিনি।

এই জনপ্রতিনিধি দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন। ২০১৯ সালেও তাকে একই পদে বহাল রাখা হয়।

শুধু রাজনীতে নয়, আইন অঙ্গনেও তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে তিনি কয়েকবার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

সর্বশেষ ২০২১-২০২২ সেশনে তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১০ ও ১১ মার্চ নির্বাচনের পর ১৫ মার্চ করোনা টেস্ট করাতে দেন তিনি। ১৬ মার্চ সকালে রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হন।

পরে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে অবনতি হওয়ায় তাকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়। মঙ্গলবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: আবদুল মতিন খসরু আর নেই

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২১
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।