ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির পূর্ণাঙ্গ রায়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তার ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির পূর্ণাঙ্গ রায়

ঢাকা: স্বাধীনতার পর প্রথম বিসিএসের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর নিয়োগ দেওয়া ৩৯ মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

৩৯ জন কর্মকর্তা বর্তমানে অবসরে রয়েছেন।

রোববার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী 

২০১৩ সালে বঞ্চিত এ ৩৯ কর্মকর্তা ২০০২ সালের ওই বিধিমালা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক তিনটি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে একই বছরের ১২ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তাদের করা তিনটি রিটে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে গত বছরের ১ নভেম্বর বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন।

ওইদিন আইনজীবী রেজা-ই-রাব্বী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এ ৩৯ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৯৮ সালে তাদের পদোন্নতির জন্য একটি নীতিমালা করা হয়। এ নীতিমালার আলোকে পদোন্নতি পেয়ে তাদের কেউ কেউ যুগ্ম সচিব পর্যন্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে ২০০২ সালে নতুন একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এটি করাই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দেওয়ার জন্য। এর মধ্যে ২০১১ সালে এ সংক্রান্ত অন্য একটি মামলা আপিল বিভাগ পর্যন্ত যায়। সে মামলায় রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছিলেন ২০০২ সালের বিধিমালা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। আর ২০০২ সালের বিধিমালা অনুযায়ী যাদের পদোন্নতি বঞ্চিত করে কনিষ্ঠদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সেসব কনিষ্ঠদের পদোন্নতি পাওয়ার তারিখ থেকে বঞ্চিতরা প্রাপ্যতা অনুযায়ী ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাবেন।

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, পদোন্নতি বঞ্চিত না হলে এ ৩৯ জনের মধ্যে ৩৭ জন সচিব, একজন অতিরিক্ত সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব হতেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।