ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ: সোহেলসহ বিএনপির ৬ নেতার আগাম জামিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২১
প্রেসক্লাবে সংঘর্ষ: সোহেলসহ বিএনপির ৬ নেতার আগাম জামিন প্রেসক্লাবে বিএনপির ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশ-নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ ৬ নেতা-কর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।  
 
বুধবার (৩ মার্চ) বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত জামিন দেন।

এই সময়ের মধ্যে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
রাজধানীর প্রেসক্লাবে বিএনপির ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশ-নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত গভীর রাতে পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় দলটির ৪৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করে।

মামলায় এজাহার নামীয় ৪৭ জন নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে (পুলিশ অ্যাসল্ট) হত্যাচেষ্টা ও হামলা-ভাঙচুর চালানো।
 
এর আগে, রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিল করার সিদ্ধান্ত এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপির ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। এতে পুলিশ সদস্যরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের পাশের অস্থায়ী পুলিশ বক্সের জানালা ভাঙচুর করেন।

অনুমতি ছাড়াই তারা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েছিলো উল্লেখ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আগে থেকে এ ধরনের সমাবেশের কথা আমরা শুনিনি। গত রাতে হঠাৎ করে তারা সমাবেশ ডাকেন। সকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে জড়ো হতে থাকেন। প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এখানে সমাবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তাদের অনুমতি ছিল না। আমরা সকালেও তাদের অনুমতি নিতে বলেছি। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে সমাবেশের চেষ্টা করেন এবং প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইটের টুকরা ছোড়েন। এরপরই মূলত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
ইএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।