ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ঝালকাঠিতে শাহাদাৎ হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
ঝালকাঠিতে শাহাদাৎ হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

ঝালকাঠি: ঝালকাঠি শহরের আলোচিত শাহাদাৎ হোসেন হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝালকাঠির জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরি গ্রামের গিয়াস মল্লিক (৪৫), কিস্তাকাঠি গ্রামের শাহীন ভূঁইয়া (৩৫) ও মির্জাপুর গ্রামের জয়নাল কাদি (৪৬)।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছোহরাব হোসেন নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শাহীন ও জয়নাল আদালতে উপস্থিত থাকলেও গিয়াস মল্লিক পলাতক ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল ঝালকাঠি শহরের স্টেশন রোডের একটি টিনের দোকানের ম্যানেজার শাহাদাৎ হোসেনকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে লঞ্চঘাট এলাকার জয়নাল কাদিরের বাসায় নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন আসামিরা। পরে তার মাথাবিহীন মরদেহ সুগন্ধা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

দু’দিন পরে ২৩ এপ্রিল দুপুরে নদীতে ভাসমান অবস্থায় মাথাবিহীন শাহাদাতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই ঝালকাঠি থানার পিএসআই আবদুর রহিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জয়নাল কাদিকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়।

সাজাপ্রাপ্ত গিয়াস মল্লিকের বাবা দেউরি গ্রামের মোকছেদ আলী মল্লিককে ১৯৮০ সালে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। এ মামলায় আসামি ছিলেন শাহাদাৎ হোসেন। ওই মামলায় সব আসামি খালাস পায়।

বাবাকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে গিয়াস মল্লিক তার সহযোগিদের নিয়ে শাহাদাৎকে হত্যা করে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শীল মণি চাকমা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার রায় এ ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।