ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট হচ্ছে ৯ স্থল কাস্টমস স্টেশনে 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট হচ্ছে ৯ স্থল কাস্টমস স্টেশনে 

ঢাকা: নয়টি স্থলবন্দরের কাস্টমস স্টেশনে অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে একটি করেরাসায়নিক পরীক্ষাগার (কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট) স্থাপন করতে একমত হয়েছে এনবিআর ও এডিবি।

ফল আমদানিতে রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট বসাতে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেওয়া এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

 

স্থলবন্দরগুলো হলো- ভোমরা, বুড়িমারি, হিলি, বাংলাবন্ধা, সোনামসজিদ, শ্যাওলা, তামাবিল, বিবিরবাজার ও টেকনাফ।

এদিকে, ঢাকায় একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি তৈরির লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ডিপিপি প্রণয়নের কাজ করছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এডিবির টেকনিক্যাল টিমের যাতায়াত ছয়-সাত মাস বন্ধ ছিল। এতে তাদের ফিজিবিলিটি টেস্টের কাজ বাধাগ্রস্থ হয়েছে। তবে বর্তমানে পুনরায় পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন পাওয়ার কথা রোববার (১৭ জানুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

দেশের বিভিন্ন স্থল ও নৌবন্দরের মাধ্যমে বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত ফল আমদানি রোধের জন্য ২০১০ সালে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ রিট পিটিশন দায়ের করেন। এ রিট পিটিশনের আলোকে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি দেশের সব স্থল ও নৌবন্দরে ছয় মাসের মধ্যে কেমিক্যাল টেস্ট ইউনিট স্থাপন এবং আমদানিকৃত সব ফলের কেমিক্যালমুক্ততা নিশ্চিত হয়ে দেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এরপর আদেশের ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান আদালত, সে অনুসারেই এ প্রতিবেদন দেওয়া হয়।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অধীনে দেশের ছয়টি কাস্টমস হাউজ এবং ১৪টি শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে ফল আমদানির সুযোগ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বেনাপোলের মাধ্যমে বেশিরভাগ ফল আমদানি করা হয়।  

চট্টগ্রাম এবং বেনাপোলে রাসায়নিক ল্যাবরেটরী রয়েছে। চট্টগ্রামে আমদানিকৃত ফল রাসায়নিক ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। এবং আমদানি নীতি আদেশ পালন করে চালান খালাস করা হয়।
অন্যান্য কাস্টম হাউসগুলোতে আমদানিকৃত ফল কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভিদ সংগনিরোধ অফিসের মাধ্যমে রাসায়নিক পরীক্ষা শেষে খালাস করা হয়।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ পরীক্ষা করতে এডিবির আর্থিক সহযোগিতায় ঢাকায় একটি সেন্ট্রাল ল্যাবরেটরি তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। এ লক্ষ্যে গঠিত কমিটি ডিপিপি প্রণয়নের কাজ করছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে এডিবির টেকনিক্যাল টিমের যাতায়াত ছয়-সাত মাস বন্ধ ছিল। এতে তাদের ফিজিবিলিটি টেস্টের (সম্ভাব্যতা যাচাই) কাজ বাধাগ্রস্থ হয়েছে। তবে বর্তমানে পুনরায় পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে এবং ডিপিপির কাজ শেষ হলে জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়।  
১৪টি স্থল কাস্টমস স্টেশনের মধ্যে ভোমরা, বুড়িমারি,হিলি, বাংলাবন্ধা, সোনামসজিদ, শ্যাওলা, তামাবিল, বিবিরবাজার ও টেকনাফের মাধ্যমে ফল আমদানি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ফরমালিন টেস্ট করা হয়।

নয়টি স্থল কাস্টমস স্টেশনে ভোমরা, বুড়িমারি, হিলি, বাংলাবন্ধা, সোনামসজিদ, শ্যাওলা, তামাবিল, বিবিরবাজার ও টেকনাফে অবকাঠামোগত উন্নয়নে এডিবি অর্থায়নে রাজি হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রতিটিতে একটি করে রাসায়নিক পরীক্ষাগার স্থাপনে ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২১
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।