ঢাকা, সোমবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বরিশালের সেই দিঘি ভরাটের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:১৭, জানুয়ারি ৪, ২০২১
বরিশালের সেই দিঘি ভরাটের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

ঢাকা: সীতা রামের দিঘি নামে পরিচিত বরিশাল নগরীর দু’শতাধিক বছরের প্রাচীন জলাধার বালি দিয়ে ভরাটের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

৬০ দিনের মধ্যে বরিশাল জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালককে এ বিষয়ে তদন্ত করে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে ওই দিঘি রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এসএ এবং আরএস পর্চা ম্যাপ অনুসারে দিঘিটি আগের অবস্থায় কেন ফেরত নেওয়া হবে না এবং দিঘিটির চতুর্পাশে পিলার দিয়ে কেন সৌন্দর্যবর্ধন করে সংরক্ষণ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ও স্থানীয় বরিশাল বানীতে প্রকাশিত সংবাদ যুক্ত করে মানবধিকার সংগঠন ‘নাগরিক অধিকার’ এর পক্ষে এ রিট করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসান তারেক। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশাল নগরীর সবচেয়ে বড় ও দুই শতাধিক বছরের প্রাচীন জলাধার বালি দিয়ে ভরে ফেলছে জমির মালিকানা দাবি করা একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। ইতোমধ্যে ট্রাকে করে বড় এ জলাধারের কিয়দংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এত বড় জলাধার বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন বাধা দিলেও চুপিসারে প্রতিনিয়ত ভরে ফেলা হচ্ছে এই সম্পদ। জলাধারের কাগজপত্রে এটি ‘সীতারামের দিঘি, পানীয় জলের জন্য সাধারণের ব্যবহার্য’ এই কথাটি উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত বালি দিয়ে ভরাট হচ্ছে এই প্রাচীন ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক সম্পদ।

বরিশাল নগরীরর ২৯ ওয়ার্ডের আওতাধীন কাশীপুর বাজার ছাড়িয়ে গেলে চোখে পাড়বে বৃহৎ আকারের এই দিঘিটি। স্থানীয়ভাবে দিঘিটি সীতারামের দিঘি নামে সুপরিচিত। এক সময়ে চন্দ্রদ্বীপ রাজবংশের অন্তর্গত এই ২.৯৮ একরের দিঘি ছাড়াও ১.৩৯ একর জায়গায় স্থাপিত হয়েছে ইউনিয়ন ভূমি আফিস যা একটি বৃহদাকার ভবন নিয়ে গঠিত।

এসএ খতিয়ানে এখানে ভূমি অফিসের বালামে এই দিঘির মালিকানা হিসেবে দেখানো হয়েছে জয়ন্ত লাল বসু, রাজকুমার বসু, গুণদা সুন্দরী বসু, বসন্ত কুমার বসু প্রমুখকে। সবশেষ ১৯৫৪ সালে জমির হাত বদল হয়েছে ও রেকর্ডভুক্ত হয়েছে সৈয়দ কাওসার হোসেনের নামে।

বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের, ইছাকাঠী মৌজার ৪১৫ ও ৪১৬ নম্বর খতিয়ানের ৮৪২ দাগে দিঘিটি অবস্থিত। সিএস ও এসএ দাগে যা সীতারামের দিঘি নামে উল্লিখিত আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।