ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সিনহা হত্যা: রিমান্ড শেষে কনস্টেবল রুবেল কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২০
সিনহা হত্যা: রিমান্ড শেষে কনস্টেবল রুবেল কারাগারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান, ফাইল ফটো

কক্সবাজার: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সন্দেহজনকভাবে গ্রেফতার ১৪তম আসামি টেকনাফ মডেল থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে সাত দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় তাকে আদালতে তোলা হয়।

পরে আদালত থেকে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুবেলের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়নি। সাত দিনের রিমান্ড শেষ হওয়ায় তাকে আদালতে হস্তান্তর করা হয়। সাত দিনের রিমান্ডে তার কাছ থেকে সিনহা হত্যা মামলা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, কনস্টেবল রুবেল কারাগারে থাকা টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিভিন্ন অপকর্মের অন্যতম সহযোগী ছিলেন। সিনহা হত্যা মামলায় ১৪তম আসামি হিসেবে সর্বশেষ সংযুক্ত হন তিনি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার আইও র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৩ (টেকনাফ) এর বিচারক তামান্না ফারাহ আবেদনের শুনানি শেষে রুবেলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২ অক্টোবর তাকে রিমান্ডের জন্য র‌্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয় এবং রিমান্ড শেষে তাকে বৃহস্পতিবার আবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নম্বর-৩ (টেকনাফ) এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ আত্মসমর্পণ করেন। পরে আরও চার পুলিশ ও পুলিশের মামলার তিন সাক্ষীকে মামলায় সংযুক্ত করা হয়। তারা সবাই কারাগারে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
এসবি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।