ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু

ঢাকা: ২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার ডেথ রেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ) ওপর শুনানি শুরু হয়েছে।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এ মামলার শুনানি শুরু হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এম এম জি সারোয়ার পায়েল। আসামিপক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ আহসান।

পরে ড. মো. বশির উল্লাহ বলেন, বুধবার রাষ্ট্রপক্ষে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) থেকে বিচারিক আদালতের রায়ের অপারেটিং অংশ উপস্থাপন করেছি। এছাড়া একজন আসামির জবানবন্দিও উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর দিন রেখেছেন।

কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছন (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে) থেকে ২০০০ সালের ২০ জুলাই ৭৬ কেজি ও পরদিন ৮০ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করা হয়। এই বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

 এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিচার শেষে ২০১৭ সালের ২০ আগষ্ট রায় দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২। রায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড  দেওয়া হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য মামলার রায়সহ সকল নথি(ডেথ রেফারেন্স) ওইবছরের ২৪ আগষ্ট হাইকোর্টে পাঠানো হয়। নথি হাইকোর্টে পৌছার পর পেপারবুক তৈরি করা হয় এবং তা বিচারের জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠানো হয়।

নিম্ন আদালতের রায়ে ওয়াসিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন ওরফে মারফত আলী, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে শিমন খান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আবু ওমরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

 এছাড়া মেহেদি হাসান ওরফে গাজী খান ওরফে আবদুল ওয়াদুদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আনিসুল ওরফে আনিস, মো. মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও সরোয়ার হোসেন মিয়াকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
ইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।