ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

বরখাস্ত ডিআইজি মিজানের ভাগ্নেকে জামিন নয় কেন: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
বরখাস্ত ডিআইজি মিজানের ভাগ্নেকে জামিন নয় কেন: হাইকোর্ট হাইকোর্টের ফাইল ফটো

ঢাকা: পুলিশের বরখাস্তকৃত ডিআইজি মিজানুর রহমানের ভাগ্নে কারাগারে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

পরে আমিন উদ্দিন মানিক জানান, মাহমুদুল হাসানের জামিন প্রশ্নে আদালত দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত বছরের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে সেসময়ের ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।

মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় শুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ নেন।

মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর অ্যাকাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পর সে টাকা ভাঙিয়ে সুদে আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মিজানুর রহমান তার স্ত্রী রত্না রহমানের নামে কাকরাইলে ১৭৭৬ বর্গফুটের একটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট কিনে ২০১১ সালে চুক্তিনামা করে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ টাকা নির্মাতা কোম্পানিকে পরিশোধ করেন। পরে ২০১৬ সালে ফ্ল্যাটটি ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে দলিল রেজিস্ট্রি করেন।

এ মামলায় গত বছরের ১ জুলাই হাইকোর্টে জামিন আবেদনের পর আদালত মাহমুদুল হাসানকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত বছরের ৪ জুলাই নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান মাহমুদুল। তার আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান ওই আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০
ইএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।