ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন ডা. সাবরিনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন ডা. সাবরিনা

ঢাকা: আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে অর্থআত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। তার স্বামীর পরিচালিত জেকেজি হাসপাতালের অপকর্মের কথাও তিনি জানতেন না বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবীরা।

সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরের আগেই সাবরিনাকে আদালতে হাজির করে চারদিনের রিমান্ড আবেদন করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন।

অপরদিকে সাবরিনার পক্ষে আইনজীবী ওবায়দুল হক ও সাইফুল ইসলাম সুমন আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন চান।

শুনানিতে তারা বলেন, ডা. সাবরিনা সরল ও সৎ বিশ্বাসে তার স্বামীর প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনি ওই হাসপাতালের অপকর্মের কথা আগে জানতেন না। জানলে তিনি হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্কের ছেদ টানতেন।

শুনানির একপর্যায়ে ডা. সাবরিনা নিজেই আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বামীর প্রতিষ্ঠানে সরল বিশ্বাসে কাজ করেছি। এসব অপকর্ম সম্পর্কে আমি জানি না। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।  

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রোববার (১৩ জুলাই) দুপুর সোয়া ১টায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকে।

এছাড়া রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও পাওয়া যায়। কলেজের কক্ষে নারী-পুরুষের আপত্তিকর অবস্থানসহ নানা অনৈতিক কাজে বাধা দিলে তিতুমীর কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও ছাত্রদের ওপরও হামলা করে আরিফুলের লোকজন।

অভিযোগ পাওয়া যায়, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্নজনকে হুমকি দিতেন আরিফ। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নাম ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালককেও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি।

জানা যায়, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১০০ ডলার।

** ডা. সাবরিনা তিনদিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।