ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হালদায় মা মাছ-ডলফিন রক্ষায় কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
হালদায় মা মাছ-ডলফিন রক্ষায় কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট

ঢাকা: হালদা নদীর জীববৈচিত্র্য এবং কার্প জাতীয় মা মাছ ও ডলফিন রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিদের অংশীদারিত্বে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নদীর তীরবর্তী এলাকার সংসদ সদস্যরা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। কমিটিতে কারা থাকবেন সেটাও উল্লেখ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মে) বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চ্যুয়াল কোর্ট এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং চট্টগ্রামের ডেপুটি কমিশনারের দেওয়া প্রতিবেদন দেখলাম।

‘পরিবেশ অধিদপ্তর হালদা নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশ জীববৈচিত্র্য এবং কার্প জাতীয় মা মাছ ও ডলফিন রক্ষায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর, স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের অংশীদারিত্বে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ‘হালদা নদীর ডলফিন হত্যা রোধ, প্রাকৃতিক পরিবেশ,জীববৈচিত্র্য এবং সব প্রকার জাতীয় মা মাছ রক্ষা কমিটি’ গঠন করবেন।

নদীর তীরবর্তী এলাকার সংসদ সদস্যরা এই কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন। কমিটি তাদের উপদেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা হলেন, জেলা পুলিশ সুপার, চট্টগ্রামের নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড,পরিবেশ অধিদপ্তর,জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন করে প্রতিনিধি, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, রাউজান, রামগড় ও মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের মনোনীত দু’জন হালদা গবেষক ও দু’জন এনজিও প্রতিনিধি, নদী তীরবর্তী উপজেলা চেয়ারম্যানরা।

কমিটির সদস্য সচিব থাকবেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কমিটি কার্যক্রম চালাবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম লিটনের এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ১২ মে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার হালদা নদী থেকে আর একটিও ডলফিন কেউ যেন শিকার বা হত্যা করতে না পারে সে বিষয়ে বিনা ব্যর্থতায় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।

এ বিষয়ে বিবাদীরা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা আদেশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমেইলযোগে উচ্চ আদালতকে জানাতে বলা হয়।

এ আদেশ অনুসারে আদালতে প্রতিবেদন দেন বিবাদীরা।

রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও অমিত তালুকদার।

পরে অমিত তালুকদার বলেন, আদালতের আদেশ মোতাবেক পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। সেখানে তারা বলেছেন-হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছেন তারা। তবে একটি কমিটি করে দিলে ওই কাজ আরও বেগবান হবে। এরপর আদালত এ কমিটি করে দিয়ে ২৮ মে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন রেখেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।