ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

১১ এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে লিগ্যাল নোটিশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২০
১১ এপ্রিল পর্যন্ত গার্মেন্টস বন্ধ রাখতে লিগ্যাল নোটিশ

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের সব গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখতে সরকারসহ বিজিএমই ও এফবিসিসিআইকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) ঢাকার আদাবরে বসবাসরত ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বলের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আরিফুল হক রোকন এ নেটিশ পাঠান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) সভাপতি এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) সভাপতি বরাবর ইমেইলযোগে এ নোটিশ পাঠানো হয়।

আইনজীবী আরিফুল হক নোটিশে বলেন, করোনা ভাইরাস বর্তমান বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। বৈশ্বিক এ সংকটের প্রেক্ষাপটে প্রায় প্রতিটি দেশই রাষ্ট্রীয়ভাবে লকডাউনের মতো কর্মসূচি নিতে বাধ্য হচ্ছে।  

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সব ধরনের সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ৩ নম্বর নোটিশ গ্রহিতার (বিজিএমইএ) অধীন গার্মেন্টস কারখানার মালিকরা শ্রমিকদের ৫ এপ্রিল নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগদানের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে  সারাদেশে দূরপাল্লার গণপরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও দেশের নানা প্রান্ত থেকে শ্রমিকরা অমানবিকভাবে হেঁটে, ট্রাক ভাড়া করে গাদাগাদি করে বসে, ফেরিতে দাদাগাদি করে একে অপরের গায়ে মিশে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগদান করলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি রয়েছে। ডব্লিউএইচও এর ভাষ্যমতে কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা  ভাইরাস মারাত্মক রকমের ছোঁয়াচে রোগ। একজন আরেকজনের সংস্পর্শে আসামাত্রই এই রোগ সংক্রমিত হয়। এই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজগৃহে অবস্থান করা। কারখানার পরিবেশে শ্রমিকদের একে অন্যের সংস্পর্শে আসাামাত্র করোনা সংক্রমণের মারাত্মক সম্ভাবনা তৈরি হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী শ্রমিকদের স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে অতিরিক্ত ভিড় না করার কথা বলা হয়েছে। এ আইনের ধারা ৫৬ এর (১) উপধারায় বলা হয়েছে ‘কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকক্ষে উহাতে কর্মরত শ্রমিকগণের স্বাস্থ্যহানি হয় এই প্রকার অতিরিক্ত ভিড় করা যাইবে না। ’

এছাড়া সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৪ এ জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমার মক্কেল মনে করেন আপনারা বর্তমান করোনা ভাইরাস প্রকোপের সময়ে শ্রমিকদের দিয়ে জোর জবরদস্তি করে কর্মে নিয়োগ করাচ্ছেন।

আগামী ২৪ ঘণ্টার ভিতর বাংলাদেশের সব গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান ১১ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বন্ধ রাখার জন্য আপনাদের (নোটিশ গ্রহিতাদের) নোটিশে অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়:১৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫,২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad