ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফ হাইকোর্টে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফ হাইকোর্টে

ঢাকা: কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম হাইকোর্টে উপস্থিত হয়েছেন।

সোমবার (২৩ মার্চ) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনায় সব নথি (রেকর্ড) চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে থাকবেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী ইশরাত হাসান।

গত ১৫ মার্চ সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে দেওয়া সাজা ও দণ্ডের আদেশের অনুলিপি, অভিযান কারা পরিচালনা করেছে মোবাইল কোর্ট নাকি টাস্কফোর্স, রাতে অভিযান পরিচালনার বিষয়ে আইন অনুসারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা, অভিযান পরিচালনার কারণ এবং আইন অনুসারে ঘটনা কার সম্মুখে কখন সংঘটিত হলো তা জানাতে রাষ্ট্রপক্ষে জানাতে নির্দেশ দেন।

এ আদেশ অনুসারে রাষ্ট্রপক্ষ নথির ফটোকপি দাখিল করে।

দণ্ড দেওয়ার ঘটনায় বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদ জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।

আবেদনে টাস্কফোর্সের নামে আরিফুল ইসলামকে অবৈধ সাজা ও আটক করা কেন সংবিধান পরিপন্থি হবে না, আরিফুল ইসলামকে ৫০ লাখ টাকা কেন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

এছাড়া কুড়িগ্রামের ডিসি, সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তাদের ভূমিকার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলবের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নথি তলব করা হয়েছে আরিফের বিরুদ্ধে করা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলার নথি এবং টাস্কফোর্স পরিচালনার।

এদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে ২৫ হাজার টাকায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুজাউদ্দৌলা ১৫ মার্চ জামিন দেন।

কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়ার অভিযোগের তদন্ত করছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, শুক্রবার (১৩ মার্চ) মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের লোকজন তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন।  

পরে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে বাড়িতে ‘আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা’ পাওয়ার ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
 
তবে সাংবাদিক আরিফের সহকর্মী ও পরিবারের দাবি, একটি পুকুর সংস্কার নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবেদন করায় জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ফাঁসিয়েছেন।

মধ্যরাতে সাংবাদিককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে জেলে পাঠানোর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে বিষয়টি আমলে নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২০
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।