ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

গেজেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রামক কি না, জানতে চান হাইকোর্ট 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
গেজেটের মাধ্যমে করোনা সংক্রামক কি না, জানতে চান হাইকোর্ট 

ঢাকা: সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ অনুসারে করোনা ভাইরাসকে গেজেটের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে বুধবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের কাছে এ তথ্য জানতে চেয়েছেন।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এ তথ্য জানাবেন ডেপুটি অ্যাটির্নি জেনারেল দেবাশিস ভট্টাচার্য্য।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, আদালত জানতে চেয়েছেন এ বিষয়ে গেজেট জারি করা হয়েছে কি না। বৃহস্পতিবারের মধ্যে এটা জানাতে হবে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আদেশের জন্য রাখা হয়েছে।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নব নির্বাচিত সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

পরে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, এ রিট পিটিশনের শুনানির সময় আমি আদালতে উপস্থিত ছিলাম। আদালত বলেছেন-আনুষ্ঠানিক আদেশ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)  দেবেন। আজকে ওই কোর্টের ডেপুটি অ্যাটির্নি জেনারেলের মাধ্যমে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮  ৪ এর (ভ) অনুসারে এটাকে সংক্রামক রোগ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে আগামীকালের মধ্যে, আজকে রাতের মধ্যে গেজেট করে সংক্রামক রোগ হিসেবে করে।

সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ৪ এ বলা হয়েছে, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সংক্রামক রোগ অর্থে নিম্নবর্ণিত রোগসমূহ অন্তর্ভুক্ত হইবে, (ভ) সরকার কর্তৃক, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, ঘোষিত কোনো নবোদ্ভূত বা পুনরুদ্ভূত (Emerging or Reemerging) রোগসমূহ।

এর আগে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে পরবর্তী অবকাশকালীন ছুটি স্থানান্তর করে এখনই ছুটি কার্যকর চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।

এছাড়া আবেদনে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আগতদের সংশ্লিষ্ট বন্দর থেকেই বাধ্যতামূলকভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা চেয়ে আর্জি জানানো হয়েছে।

বুধবার (১৮ মার্চ) ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।  

এদিকে ১৩ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত উচ্চ আদালত অবকাশকালীন ছুটিতে রয়েছে। আবেদনে ডিসেম্বরে থাকা অবকাশকালীন ছুটি স্থানান্তর করে এখন নিম্ন আদালতে সেই ছুটি কার্যকর এবং মে, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ডিসেম্বরে থাকা অবকাশকলীন ছুটি স্থানান্তর করে এখন সুপ্রিম কোর্টে সেই ছুটি কার্যকরের জন্য রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।   

রিটে আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭ হাজার ৯৮১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু চীনেই মারা গেছেন তিন হাজার ২৩৭ জন। আর বুধবার (১৮ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৬৫টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৯৪ জন। বাংলাদেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।  
এর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরছে প্রবাসীরা। তাদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিলেও অনেকে তা মানছে না বলে এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২০
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।