ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সায়মা হত্যা: স্বল্প সময়ে দৃষ্টান্তমূলক রায়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২০
সায়মা হত্যা: স্বল্প সময়ে দৃষ্টান্তমূলক রায়

ঢাকা: ছয় বছরের শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা পুরো জাতিকে নাড়া দিয়েছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামিকে গ্রেফতার অভিযোগপত্র দাখিল করে। হত্যাকাণ্ড থেকে তদন্তসহ বিচার শেষ হতে লেগেছে মাত্র ৮ মাস।

গত বছরের ৫ জুলাই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর ৫ নভেম্বর একমাত্র আসামি হারুনুর রশিদকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়। মামলাটি বিচারের জন্য প্রথম নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে বদলি হয়ে আসে ডিসম্বরে।

চার্জগঠন হয় চলতি বছরের ২ জানুয়ারি। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় ৮ জানুয়ারি।  

মাত্র দুই মাসের বিচার প্রক্রিয়ায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন সাক্ষীর ১৪ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়। এরপর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ৫ মার্চ বিচারকাজ শেষে রায়ের জন্য ৯ মার্চ দিন রাখা হয়। সে অনুযায়ী সোমবার রায় দেওয়া হয়। রায়ে একমাত্র আসামি হারুনুর রশিদকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান।  

আর এই রায়কে স্বল্প সময়ে দৃষ্টান্তমূলক বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

রায়ের পর সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বলেন, মেয়েতো ফিরে আসবে না, তবে বিচার হওয়ায় অন্য অপরাধীদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হবে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট, দ্রুত এই রায় কার্যকর হোক এটাই আশা করছি।

তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন (ডেথ রেফারেন্স) প্রয়োজন। দ্রুত সেই আইনি প্রক্রিয়া শেষে অপরাধীর শাস্তি কার্যকর হবে বলে আশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল বারী।

রায়ে আদালত কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। বাদী নিযুক্ত আইনজীবী রশিদ আহাম্মদ গাংগুহী বলেন, রায়ে আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করে বলেছেন, ছয় বছরের একটি শিশুর ওপর যে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে সে ব্যাপারে আসামির দায় সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সে নিজে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে, সাক্ষীদের সাক্ষ্যতেও তা প্রমাণিত। এ অবস্থায় আসামি কোনো অনুকম্পা পেতে পারে না। মৃত্যুদণ্ডই তার একমাত্র উপযুক্ত শাস্তি।

এই আইনজীবী আরও বলেন, দ্রুততম সময়ে ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি অন্যদের জন্যও একটি বার্তা হয়ে থাকবে। যাতে আর কোনো অপরাধী এমন অপরাধের সাহস না পায়। এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২০
কেআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।