ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সায়মা হত্যা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন আসামি হারুন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
সায়মা হত্যা: নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেন আসামি হারুন

ঢাকা: রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদ নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। 

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নানের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখেন।

আত্মপক্ষ সমর্থনে দেওয়া বক্তব্যে আসামি হারুন আদালতকে জানান, এই মামলায় সাক্ষীরা যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তা সত্য নয়।

এ ঘটনায় তার দেওয়া স্বীকারোক্তি ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে আদায় করা হয়েছে।

আসামির আত্মপক্ষ সমর্থন শেষে আগামী ৫ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন রেখেছেন আদালত। উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের পরিদর্শক মোহাম্মদ আরজুনের জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। এরপর আসামির আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য রোববার দিন রেখেছিলেন।

গত বছর ৫ নভেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত ২০ নভেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মইনুল ইসলাম মামলাটি বিচারের জন্য এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এ বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।

চলতি বছর ২ জানুয়ারি মামলায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে ৮ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। ওইদিন সায়মার বাবা আব্দুছ ছালামের জবানবিন্দর মাধ্যমে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।  

২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওয়ারীতে বনগ্রামের খালি ফ্ল্যাটের নবম তলায় তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এসময় তার গলায় রশি প্যাঁচানো, মুখ বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পরদিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

এই মামলার একমাত্র আসামির বাড়ি কুমিল্লায়। ওয়ারীর বনগ্রামের যে বহুতল ভবনে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, তার অষ্টম তলায় খালাতো ভাই পারভেজের বাসায় থাকতেন তিনি। ঠাঁটারীবাজারে পারভেজের রঙের দোকানেই তিনি কাজ করতেন। আর হত্যার শিকার সাত বছর বয়সী মেয়েটি ষষ্ঠ তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো। অন্য দিনের মতোই আট তলায় পারভেজের মেয়ের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা বলে শুক্রবার বাসা থেকে বের হয়েছিল সে।

সায়মা হত্যা মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদকে গত ৭ জুলাই তার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন হারুন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। সেই থেকে তিনি কারাগারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০
কেআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।