ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নবজাতক হত্যায় রিমান্ডে মা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২০
নবজাতক হত্যায় রিমান্ডে মা

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক নবজাতককে হত্যা করার অভিযোগে ওই নবজাতকের মাকে একদিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নবজাতক খুনের ঘটনায় গত ২৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব কুমার বর্মণ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরদিন ওই নবজাতকের মাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই শরিফুল ইসলাম। শুনানি শেষে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এরআগে গত ৩০ জানুয়ারি আদালত তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। সে ‍অনুযায়ী এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো। আদালতে নবজাতকের মা ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন ওই তরুণী। এছাড়া সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে পরীক্ষায় তিনিই ওই সন্তানের মা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।  

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ২২ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানার রায়েরবাজার এলাকার মোকাব খান রোডের ডাস্টবিনে এক নবজাতক ছেলের মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়। মৃত নবজাতকের পরিচয় শনাক্ত করতে ২৪ ডিসেম্বর তার মা সন্দেহে ওই তরুণীকে আটক করে পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী জানান, প্রেম করে শামীম নামের একজনকে বিয়ে করেন। পরে জানতে পারেন, শামীমের আরও তিন স্ত্রী আছে। এরই মধ্যে গর্ভবতী হন তিনি। এ তথ্য শামীমকে জানালে, মা ও সন্তানকে খুন করার হুমকি দেন। গত ২০ ডিসেম্বর বিকেলে প্রসব বেদনা উঠলে টয়লেটে গিয়ে একা একা বাচ্চা প্রসব করেন তিনি। পরে বাচ্চাটির গলা টিপে মেরে মরদেহ গোপন করার জন্য পাশের ডাস্টবিনে ফেলে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০
কেআই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।