ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সিপিবি’র সমাবেশে হামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের সন্তুষ্টি

জবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
সিপিবি’র সমাবেশে হামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের সন্তুষ্টি

ঢাকা: আদালত যেসব আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন তারা সবাই সিরিজ বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা এ দেশের আইন বিশ্বাস করে না, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করে না, তারা চায় ইসলামিক রাষ্ট্র এবং সেই ধারণা থেকেই আওয়ামী লীগ ও সিপিবি তথা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই এই হামলা চালিয়েছিলো।

রায় পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলী ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি আবদুল্লাহ আবু।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলা মামলার রায় সোমবার (২০ জানুয়ারি) ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে তার এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, এই বোমা হামলার ঘটনায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতা আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলো এবং তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত ১২ জন আসামির মধ্যে ১০ জন আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়েছেন।

পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, জোট সরকারের আমলে এই মামলাটি বিভিন্নভাবে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যে কারণে এই মামলাটি সম্পন্ন করতে এত বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়েছে।

অপরদিকে পলাতক দুই আসামির খালাস প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের এ কৌঁসুলী বলেন, এই দুই আসামি প্রত্যেকে সিপিবির সদস্য। ভুলবশত তাদের এই মামলার এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো এবং ভয়ের কারণে এই দুই আসামি অন্য আসামির মতোই পলাতক ছিলো।

এদিকে রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সিআইডির অতিরিক্ত এসপি মৃণাল কান্তি সাহা বলেন, আমি সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মামলার তদন্ত করার চেষ্টা করেছি এবং আদালতে তা পেশ করেছি। আসামিদের মধ্যে চারজন গ্রেফতার এবং ভারতের কারাগারে দুইজন বন্দি ও একজন ভারতে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে।

পলাতক আসামিদের ব্যাপারে তিনি বলেন, পলাতক আসামি ও ভারতের কারাগারে থাকা দুই আসামির সঙ্গে কথা বলতে আমি ভারত যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় যেতে পারিনি।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সমাবেশে বোমা হামলা মামলায় ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দ‌ণ্ডিতদের প্র‌ত্যেক‌কে ২০ হাজার টাকা করে জ‌রিমানা করা হয়েছে। এছাড়া দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুফতি মঈন উদ্দিন শেখ, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মহিবুল মুত্তাকিন, আমিনুল মুরসালিন, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান ও নূর ইসলাম।  

আর খালাসপ্রাপ্ত দুজ‌ন হলেন- ম‌শিউর রহমান ও র‌ফিকুল আলম মিরাজ। তারা দুজনই পলাতক।

দীর্ঘ দুই দশক আগের চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় গতবছরের ১ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়। পরে রায়ের জন্য সোমবার দিন ঠিক করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
কেডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।