ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

পল্টন হত্যা মামলার রায় মঙ্গলবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
পল্টন হত্যা মামলার রায় মঙ্গলবার

ঢাকা: ‘একজন যৌনকর্মীর পারিশ্রমিক পরিশোধ নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে’ ময়মনসিংহের নান্দাইলের ওষুধের দোকানী মাজহারুল ইসলাম পল্টন হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর)। এদিন ঢাকার এক নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ মামলার রায় দেবেন।

মামলায় মোট আসামি ১৭ জন। তারা হলেন- একলাছ উদ্দিন ওরফে জুয়েল, আবুল কাশেম ওরফে বাচ্চু মেম্বার, আবুল কালাম আজাদ ওরফে পিনু ডাক্তার, চন্দন, শুক্কুর আলী ওরফে আশ্রাফ আলী, আফতাব উদ্দিন ওরফে আক্রাম আলী, কবির মিয়া, আবুল কাশেম, বাদল মিয়া, ফারুক মিয়া, রুমা আক্তার, বদরুল আলম ওরফে বদরুল, ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, রফিক, আবু সিদ্দিক ও দুলাল।

আসামিদের মধ্যে ফারুক মিয়া, রফিক ও রুমা আক্তার পলাতক। চার্জশিটে নাম থাকলেও পরে মারা যাওয়ায় জব্বর মোহরীকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।  

দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আবু আব্দুল্লাহ ভূঞা বাংলানিউজকে জানান, আসামিদের মধ্যে রুমা আক্তার ও ফারুক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই জবানবন্দিতে তারা বলেছেন, রুমা আক্তার একজন যৌনকর্মী। মাজহারুল ইসলাম পল্টনের ওষুধের দোকানে আসামিদের কয়েকজন রুমার সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হন। পরে ওই ব্যক্তিরা তাকে যৌনকর্মীর পারিশ্রমিক না দেওয়ায় রুমা পল্টনকে সেই টাকা দিতে চাপ দেন। কিন্তু পল্টন তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আসামিরা পল্টনকে মারপিট করে হত্যা করেন।  

এ মামলায় গত ৫ ডিসেম্বর আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য ২৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। পলাতক তিন আসামি ছাড়া বাকিদের জামিন বাতিল করে ওইদিনই আদালত তাদের কারাগারে পাঠান।

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাত থেকে ১ মার্চ সকাল পর্যন্ত পল্টনকে তার ওষুধের দোকানের ভেতরে মাথায় ও কপালে আঘাত করে খুন করা হয়। দোকানের ভেতরে বাঁশের খুঁটির সঙ্গে গামছা দিয়ে মরদেহ বেঁধে রেখে দোকানে তালা দিয়ে পালিয়ে যান খুনিরা।

এ ঘটনায় পল্টনের বোন বিউটি আক্তার নান্দাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৩১ জানুয়ারি ১৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন।

চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর জব্বর মোহরী নামে এক আসামি মারা যান। আদালত জব্বর মোহরীকে অব্যাহতি দিয়ে ১৭ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ৩৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
কেআই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।