ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা

যশোর: যশোরের ঝিকরগাছায় ‘বাড়িতে ছাগল যাওয়া’ নিয়ে বিরোধের জেরে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ওই নারী থানায় একটি মামলা করেছেন। এর আগে ১২ নভেম্বরের এ ঘটনায় বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ঝিকরগাছা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

থানায় অভিযোগের পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। নির্যাতনের শিকার নারী উপজেলার বায়সা গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগে জানা যায়, ১২ নভেম্বর সকালে স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী একটি ছাগল প্রতিবেশী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে যায়। এ নিয়ে রফিকুলের স্ত্রী কমলা খাতুনের সঙ্গে ওই নারীর ও তার বোনের বিবাদ মারধরের রূপ নেয়। একপর্যায়ে প্রতিবেশী তাইজুল ইসলাম, তার স্ত্রী শাহিনুর খাতুন, ছেলে জিয়াউর রহমান ও ছেলের স্ত্রী ফাইমা খাতুন, নূরবনী ওরফে নুরুন্নবীর স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও তার ছেলে শরিফুল ইসলাম, মফিজুর রহমানের স্ত্রী আমেনা খাতুন, শরিফুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুন, মফিজুর রহমানের ছেলে রেজাউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন ওই নারীকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক মারধর করেন।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, তিনি খবর পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। এছাড়া বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসারও চেষ্টা করেন। তবে, বিষয়টি নিয়ে থানায়  মামলা হওয়ায় মীমাংসা সম্ভব হয়নি।

ওই নারীর ছোটভাইয়ের অভিযোগ, তারই আপন বড়ভাইয়ের সঙ্গে জমাজমি ও টাকা পয়সা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তারই ইন্ধনে প্রতিবেশীরা তার বোনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছেন। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার ওই নারী থানায় মামলা করেছেন। নির্যাতনকারীর মধ্যে নারীর বড়ভাই ও ভাবিও রয়েছেন। তবে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
ইউজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।