ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

‘প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
‘প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই’

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ বিচার বিভাগও। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে বদলে যাচ্ছে বিচার বিভাগের কাজের ধরন। কাজের গতিও বেড়েছে। বেড়েছে মামলা নিষ্পত্তির হার।

সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন আলোচিত মামলায় দেওয়া রায়, আদেশ বা সিদ্ধান্ত ও বিভিন্ন আইন সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়াদী অন্তর্ভুক্ত করে ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) নামে একটি ওয়েবসাইটভিত্তিক সফটওয়্যারের আপডেট ভার্সন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।
 
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন।


 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করীম।
 
প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে নিখুঁতভাবে কাজ করা যায়। এ লক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের দিকে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
 
‘ইতোমধ্যেই সরকার ই-জুডিশিয়ারির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ’
 
প্রধান বিচারপতি বলেন, ছিদ্দিক এন্টারপ্রইজের ল’ চেম্বার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এলসিএমএস) আইনজীবীদের পেশাগত কাজে গতি আনবে বলে বিশ্বাস করি। এই উদ্যোগ সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আইনজীবীরা সঠিকভাবে তাদের চেম্বার ব্যবস্থাপনা করতে সক্ষম হবেন। এই পদ্ধতি উচ্চআদালতে মামলা ব্যবস্থাপনায় বিচারক ও আইনজীবীদের কাজকে সহজতর করবে।
 
শ ম রেজাউল করিম বলেন, একটি দেশের বিচার ব্যবস্থা সেই দেশের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মানদণ্ডের মাপকাঠি। বিশ্বের অনেক দেশের বিচার ব্যবস্থার চেয়ে আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা অনেক অনেক উন্নত। আমাদের বিচার বিভাগ যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য সবাইকে একসঙ্গে কাজ করা দরকার।
 
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সমালোচনা করা যাবে, তবে সেটা হতে হবে গঠনমূলক। ঢালাওভাবে নয়। কিন্তু দেখা যায়, কেউ কেউ রায় পক্ষে গেলে স্বাগত জানাই। আর বিপক্ষে গেলে বলা হয়, আজ্ঞাবহ রায় দেওয়া হয়েছে। আমাদের এই ধারণা ও প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শেষ আশ্রয়স্থল এই উচ্চ আদালত। সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের প্রতি যদি মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যায় তবে এই ক্ষতি আমার-আপনার সকলের।
 
ছিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ প্রায় দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আইনাঙ্গনে আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সারাদেশের আইনজীবীদের উচ্চ ও নিম্ন আদালতের মামলা এবং চেম্বার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত সহজ এবং চমৎকারভাবে পরিচালনার জন্য অত্যাধুনিক সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।