ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

রূপালীর মনোরঞ্জন দাসের জামিন হয়নি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
রূপালীর মনোরঞ্জন দাসের জামিন হয়নি

ঢাকা: জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি বন্ধক রেখে রূপালী ব্যাংকের ১৬২ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টার মামলায় জামিন হয়নি ওই ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মনোরঞ্জন দাসের।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউকশনের রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. আসিফ হাসান।

আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আজিম উদ্দিন।

পরে মো. আসিফ হাসান জানান, ওই কর্মকর্তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউকশন করে রায় দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ তার জামিন হয়নি।

এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গত ১৪ অক্টোবর তাকে জামিন কেন প্রদান করা হবে না সেই প্রশ্নে হাইকোর্ট রুল দিয়েছিল।

মামলার এজাহারের কথা উল্লেখ করে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির এবং অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে রেলওয়ের ১১৭ শতাংশ জমি বন্ধকি দলিলের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকে বন্ধক রেখেছেন। এর মাধ্যমে ব্যাংকের মেয়াদি প্রকল্প ঋণের বিপরীতে বন্ধক রেখে মোট ১৬১ কোটি ৯১ লাখ ৬৫ হাজার ২৪৫ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।

এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুর রেজা  চলতি বছরের  ৪ আগস্ট ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

আসামি মনোরঞ্জন দাস গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে জেল হাজতে রয়েছেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।  

এই মামলায় অন্য আসামিরা রূপালী ব্যাংকের সাবেক এমডি এম ফরিদ উদ্দিন, সাবেক ডিএমডি কাজী মো. নেয়ামত উল্লাহ, রূপালী সদন করপোরেট শাখার সাবেক শাখা প্রধান মো. সিরাজ উদ্দিন, একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. কামাল উদ্দিন, ব্যাংকের শিল্পঋণ বিভাগের সাবেক ডিজিএম সৈয়দ আবুল মনসুর, শিল্প ঋণ বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার (বর্তমানে স্থানীয় কার্যালয়ের এজিএম) আবু নাছের মো. রিয়াজুল হক, এইচ আর স্পিনিং মিলের এমডি মো. হাবিবুর রহমান, চেয়ারম্যান শাহীন রহমান ও পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।