ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
হলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ২৭ নভেম্বর

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা  মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষণার এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম ছারোয়ার খান জাকির বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এর আগে গত ৬ নভেম্বর এ মামলায় আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুরু হয়। যা শেষ হয় রোববার।  

মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সবমিলিয়ে ১১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ।

এছাড়া বিভিন্ন জঙ্গি বিরোধী অভিযানে আসামিদের মধ্যে ১৩ জন নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা।  

তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

তদন্ত শেষে আটজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর।

অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে। হামলার পর কমান্ডো অভিযান শেষে উদ্ধার হওয়া অন্যদের সঙ্গে তাকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।  

একই বছর ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে গতবছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলার বিচার শুরু হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯/আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা
কেআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।