ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হ‌লি আ‌র্টিজান মামলায় যু‌ক্তিতর্ক অব্যাহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৯
হ‌লি আ‌র্টিজান মামলায় যু‌ক্তিতর্ক অব্যাহত

ঢাকা: রাজধানীর গুলশা‌নের ‌হ‌লি আ‌র্টিজান রেস্টু‌রে‌ন্টে নৃশংস জ‌ঙ্গি হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় বৃহস্প‌তিবার (৭ ন‌ভেম্বর)  দ্বিতীয় দি‌নের ম‌তো যু‌ক্তিতর্ক অনু‌ষ্ঠিত হ‌য়ে‌ছে। এ‌দিন য‌ুক্তিতর্ক উপস্থাপন ক‌রে রাষ্ট্রপে‌ক্ষের আইনজীবী বক্তব্য শেষ ক‌রে‌ছেন। প‌রে আসা‌মিপ‌ক্ষের আইনজীবী‌দের বক্তব্য শুরু হয়।

এরপর সন্ত্রাসবি‌রোধী বি‌শেষ ট্রাইব্যুনা‌লের বিচারক মো. ম‌জিবুর রহমা‌নের আদালত অসমাপ্ত যু‌ক্তি‌ত‌র্কের জন্য আগামী ১৩ ন‌ভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য ক‌রেন।

এদিন রাষ্ট্রপ‌ক্ষে যু‌ক্তিতর্ক উপস্থাপন ক‌রেন অ্যাড‌ভো‌কেট গোলাম ছা‌রোয়ার খান জা‌কির।

প‌রে তি‌নি বাংলা‌নিউজ‌কে ব‌লেন, বুধ ও বৃহস্প‌তিবার দু’দি‌নে আ‌মি রাষ্ট্রপ‌ক্ষে যু‌ক্তিতর্ক উপস্থাপন ‌শেষ ক‌রে‌ছি। বৃহস্প‌তিবারই আসা‌মিপ‌ক্ষের আইনজীবীরা যু‌ক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু ক‌রে‌ছেন। এরপর আদালত তা‌দের অসমাপ্ত বক্তব্য প্রদা‌নের জন্য আগামী ১৩ ন‌ভেম্বর দিন ধার্য ক‌রেন।

ত‌বে আসা‌মিপ‌ক্ষের বক্ত‌ব্যের পরিপ্রে‌ক্ষি‌তে উদ্ভূত প্র‌শ্নের জবাব দি‌তে রাষ্ট্রপক্ষ আ‌রেক দফা সময় পা‌বে ব‌লে জানান গোলাম ছা‌রোয়ার খান জা‌কির। তিনি বলেন, যু‌ক্তিত‌র্কের মাধ্যমেই এই মামলার বিচারকাজ শেষ হ‌বে। এরপর আদালত রায় ঘোষণা করবেন।

এর আ‌গে এই মামলায় ২১১ জন সাক্ষীর ম‌ধ্যে ১১৩ জন সাক্ষ্য দি‌য়ে‌ছেন। এরপর আসা‌মিরা ফৌজদারি কার্য‌বি‌ধির ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন ক‌রে বক্তব্য দেন।

এই মামলার আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ।

এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে ১৩ জঙ্গি নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে সেনাবাহিনীর কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।

২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। একই বছর ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই হামলার বিচার শুরু হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, ন‌ভেম্বর ০৭, ২০১৯
কেআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।