ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হারুনের জামিন স্থগিত আবেদনের শুনানি আপিল বেঞ্চে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
হারুনের জামিন স্থগিত আবেদনের শুনানি আপিল বেঞ্চে সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ, ফাইল ফটো

ঢাকা: শুল্ক ফাঁকির অভিযোগের মামলায় পাঁচবছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদকে হাইকোর্টের দেওয়া ছয়মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা আবেদনের ওপর শুনানি হবে আপিল বিভাগে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এ আদেশ দেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুদকের আবেদন শুনানির জন্য বুধবার (৩০ অক্টোবর) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে হারুন অর রশিদের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের একক বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। পরে দুদক এই জামিনাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।

আদালতে হারুন অর রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সৈয়দ মিজানুর রহমান।

খুরশীদ আলম খান বলেন, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ছয়মাসের জামিন দিয়েছেন। পাশাপাশি অর্থদণ্ড স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি তলব করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় একবছর তিনমাস সাজা খেটেছেন এমন বিবেচনায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ মামলার পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও একলাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মামলার অপর পলাতক আসামি ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৪০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় এমপি হারুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন অর রশীদ।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, হারুন বিএনপি জোট সরকারের সময় এমপি থাকাকালে ২০০৫ সালে ব্রিটেন থেকে একটি হ্যামার ব্র্যান্ডের গাড়ি শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনেন।

পরে গাড়িটি তিনি ইশতিয়াক সাদেকের কাছে ৯৮ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। এরপর আবার সাদেক গাড়িটি চ্যানেল নাইনের এমডি বাপ্পীর কাছে বিক্রি করে দেন।

নিয়ম অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত গাড়ি তিন বছরের মধ্যে বিক্রি করলে শুল্ক দিতে হয়। কিন্তু এমপি হারুন শুল্ক না দিয়ে বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। এই অভিযোগে ২০০৭ সালের ৭ মার্চ এমপি হারুনসহ তিনজনের নামে মামলাটি মামলা দায়ের করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক ইউনুস আলী।

২০০৭ সালের ১৮ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। একইবছর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও গঠন করা হয়। ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

হারুন অর রশীদ বিগত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
ইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।