ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হুজির শীর্ষনেতাসহ দুই জঙ্গির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৯
হুজির শীর্ষনেতাসহ দুই জঙ্গির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

ঢাকা: আল কায়েদার সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বৈঠক করা নি‌ষিদ্ধ ঘো‌ষিত জ‌ঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হু‌জি) শীর্ষনেতা আতিকুল্লাহ ও তার সহযোগী রোবহান উদ্দিন রাব্বানী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

মঙ্গলবার (০৮ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই দুজনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এছাড়া আতিকুল্লাহর আরেক সহযোগী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গত ৩ অক্টোবর এই তিনজনকে চার দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম। সেই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক কামরুজ্জামান দুই জঙ্গি আতিকুল্লাহ ও বোরহানের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। এছাড়া মামলার অপর আসামি নাজিম উদ্দিনের ফের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত দুজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপরজনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২ অক্টোবর বিকেলে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন নিকুঞ্জ-২ এর বড় মসজিদ এলাকা থেকে এই তিনজনকে আটক করে। প‌রে তা‌দের বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
 
সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, আতিকুল্লাহ ১৯৯৬ সালে মুফতি হান্নানের নেতৃত্বে গঠিত হরকাতুল জিহা‌দের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরে তি‌নি বায়তুল মাল ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্বশীল হন। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের প্রথম দিকে আতিকুল্লাহ দুবাই হয়ে সৌদি আরব পালিয়ে যান। সেখান থেকে একাধিকবার তি‌নি পাকিস্তান গিয়ে দেশটির জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুল্লাহ জানান, তিনি আশির দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধে অংশ নেন। ওই সময় থেকেই তার সঙ্গে আল-কায়েদার প্রয়াত প্রধান ওসামা বিন লাদেন, তালেবানের সাবেক শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমর ও আল-কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তি‌নি বোমা তৈরিতে বিশেষভাবে দক্ষ। গত মার্চে তি‌নি দেশে এসে নতুন করে হুজিকে সংগঠিত করার কাজে নামেন। আতিকুল্লাহর বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভুঁইয়া দেবরামপুর এলাকায়। তার বাবার নাম হাফেজ আহসান উল্লাহ।

সিটিটিসির কর্মকর্তারা জানান, আতিকুল্লাহর সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া নাজিম উদ্দিন হুজির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি এবং বোরহান উদ্দিন রাব্বানী ফেনী জেলার দায়িত্বে আছেন। নাজিম উদ্দিনের বাবার নাম মাওলানা আবু ওবায়দুল্লাহ। বাগেরহাটের ডেমা মধ্যপাড়ায় তার গ্রামের বাড়ি। রাব্বানীর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৯
কেআই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।