ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

চাঁদপুরে মতিন হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
চাঁদপুরে মতিন হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন প্রধান হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মতলব উত্তর উপজেলার কোয়রকান্দি এলাকার আবুল কালাম (৫০), মো. বাবুল (৪২), মো. খোকন (৪৫) ও কিশোরগঞ্জ জেলার কাটিয়াদী থানার আশুরকান্দা এলাকার ফল্লু মিয়ার ছেলে মো. লিটন (১৯)।


 
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৫ জুলাই রাতে আব্দুল মতিন প্রধান নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুজাতপুর বাজার থেকে একজন অপরিচিত কাপড় ব্যবসায়ীকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য সুজাতপুর বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুজাতপুর হতে দাসের বাজার সংযোগ ঘোড়াইর কান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলামের বাড়ির আনুমানিক ৭শ গজ দক্ষিণ এসে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত ভেবে রাস্তার উপরে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে পকেটে থাকা মোবাইল ফোন থেকে নম্বর নিয়ে তার ছেলেকে সংবাদ দিলে সেখান থেকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপালে নিয়ে যায়। সেখানেই তিনি চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৭ জুলাই উল্লেখিতদের অভিযুক্ত করে মতলব উত্তর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলার বাদী নাছিমা বেগম বলেন, আমার পিতা ও আসামিরা সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। তাদের সম্পত্তিগত সমস্যা নিয়ে আমার পিতা সালিশি বৈঠকের রায় দেন। ওই রায় তাদের পক্ষে না হওয়ায় বিরোধ দেখা দেয়। সেই থেকেই তারা পরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে হত্যা করে।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় পড়ে শোনানো হয়। প্রায় ৪ বছর মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে এ রায় দেন।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার হোসেন অভি এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন তবদিল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।