ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

কুড়িগ্রামে ধর্ষণের দায়ে বাসচালকের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
কুড়িগ্রামে ধর্ষণের দায়ে বাসচালকের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মাসুদ রানা (২০) নামে এক বাসচালককে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুালের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু মঙ্গলবার এ রায় দেন।

মাসুদ রানা সদর উপজেলার উত্তর ভেলাকোপা একতাপাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হকের ছেলে।

তিনি পলাতক রয়েছেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, মাসুদ ২০০৮ সালের ১০ অক্টোবর ঘরের বেড়া কেটে ভেতরে ঢুকে একই গ্রামের এক কিশোরীকে (১৫) ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করেন। এতে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়।  

এরপর ২০০৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ওই কিশোরী বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর আদালত কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আবু বকর সিদ্দিককে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এরই মধ্যে ওই কিশোরী ছেলে সন্তান প্রসব করেন।
 
তিনি আরও বলেন, আসামি মাসুদ রানা ধর্ষণের ঘটনা অস্বীকার করেন। পরে ওই ছেলে সন্তানের ডিএনএ নমুনা (বীর্য) পরীক্ষা করলে মাসুদ রানার সঙ্গে মিলে যায়।

সাক্ষ্য-প্রমাণে মাসুদ দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। মাসুদ রানা আদালত থেকে জামিন নেওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার করার দিন থেকে তার সাজা কার্যকর হবে বলেও জানান এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কুড়িগ্রাম আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলম।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এফইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad