ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ইয়াবা ভুট্টোর বাড়ি-সম্পদ জব্দ থাকবে: হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
ইয়াবা ভুট্টোর বাড়ি-সম্পদ জব্দ থাকবে: হাইকোর্ট নুরুল হক ওরফে ভুট্টো

ঢাকা: দু’টি বিলাসবহুল বাড়িসহ কোটি কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের দেওয়া নির্দেশ বাতিল চেয়ে কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হক ওরফে ভুট্টোর আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।

ফলে তার বাড়ি ও সম্পদ জব্দই থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ আদেশ দেন।


 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। নুরুল হক ভুট্টোর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন প্রবীর রঞ্জন হালদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।

বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রব।

মানি লন্ডারিংয়ের এক মামলায় পুলিশের আবেদনে সম্প্রতি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত এক আদেশে ভুট্টোর পরিবারের সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশে পুলিশ মামলায় বর্ণিত সম্পদ জব্দ করে। সেই থেকে এই সম্পদ জব্দ করা অবস্থায় রয়েছে।

পরবর্তীতে গত ১৬ জুন হাইকোর্টে এ আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে সম্পদ জব্দের বিষয়ে কক্সবাজার আদালতের আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়। একইসঙ্গে কক্সবাজার আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।
 
১৯ জুন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ২৫ জুন পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছিলেন। মানি লন্ডারিং মামলায় সিআইডির তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মত জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। এজন্য বিশেষজ্ঞদের আদালতে হাজির করতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এ আদেশ অনুসারে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রব।

আদেশের পর আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। ফলে তার বাড়ি-সম্পদ জব্দ থাকবে। এছাড়া বিশেষজ্ঞ মতামতে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ২০১৯ সালের একটি রুলস হয়েছে। সে অনুসারে এ মামলায় সিআইডি তদন্ত করতে পারবে।
 
গত ১৯ জুন আমিন উদ্দিন মানিক জানান, মানি লন্ডারিং আইনে করা নারায়ণগঞ্জের একটি মামলায় তদন্তকালে নুরুল হক ভুট্টোর অবৈধ সম্পদের তথ্য পায় আইন-শৃংখলা বাহিনী। এরপর তদন্তে নেমে ভুট্টোর মাদক ব্যবসা ও সম্পদের পাহাড়ের তথ্য পায়। সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন ২০১৭ সালের ২৯ আগস্ট টেকনাফ থানায় নুরুল হক ভুট্টো, তার বাবা, স্ত্রী, ভাইসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।  

একইদিন পুলিশ নুরুল হক ভুট্টোকে গ্রেফতার করে। পরে তিনি গতবছর ২৮ মার্চ হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। এরপর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতে সশরীরে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দাখিল করেন। এছাড়াও এ মামলার আসামি নুর মোহাম্মদকে (ভুট্টোর ভাই) গত ২১ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন তিনি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।