ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হলি আর্টিজান মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
হলি আর্টিজান মামলায় ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ...

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন।

সোমবার (২৭ মে) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী তাদের হাজিরা দাখিল করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আগামী ১৩ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এ দিন সাক্ষ্য দিয়েছেন— পরিদর্শক রফিকুল আলম, উপপরিদর্শক (এসআই) কবির হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, দিদার হোসেন ও দীন ইসলাম।

গত ২০ মে যারা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তারা হলেন— বনানী থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহিদুজ্জামান, ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, একই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহাগ হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস। এ চার পুলিশ সদস্যসহ মামলাটিতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালে।

হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার খবর পেয়ে তারা সেখানে ছুটে যান। পুরো ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে তারা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পরেও তারা হলি আর্টজানে ছিলেন বলে আদালতকে বলেন।

ঘটনার সময় সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলায় পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ও ফারুক হোসেন আহত হন। তারা গুরুতর আহত হওয়ায় ফারুক হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা শেষে চারমাস পরে তিনি দেশে ফেরেন। পুলিশ সদস্যরা বিস্তারিত জানান ট্রাইব্যুনালকে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন।

এরপর ৪ জুলাই গুলশান থানার এসআই রিপন কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই বছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করার পর গত ৪ ডিসেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এ মামলার আসামিরা হলেন— হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত
কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

২০১৮ সালের ৮ আগস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে আদালত চার্জশিট গ্রহণ করার পর ২৬ নভেম্বর এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।

সম্প্রতি এ মামলার পলাতক আসামি মামুনুর রশিদ ওরফে রিপনকে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজারের একটি বাস থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। আর শরিফুল ইসলাম ওরফে আব্দুস সবুর খানকে ২৫ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থেকে গ্রেফতার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
এমএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।