ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সাবেক এমপি হান্নানসহ ৮ জনের বিচার শুরুর আদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২২ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৯
সাবেক এমপি হান্নানসহ ৮ জনের বিচার শুরুর আদেশ

ঢাকা: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষী গ্রহণের জন্য ১৪ জুলাই দিন ঠিক করেছেন আদালত।

সোমবার (২৭ মে) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মিজানুল ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার।

পরে সুলতান মাহমুদ সীমন বলেন, ছয়জন কারাগারে আছেন। বাকি দুইজন পলাতক। আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষী গ্রহণের জন্য ১৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।  

২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর এ মামলায় অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে একই বছরের ৩১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউশন।

এম এ হান্নানসহ (৮০) এ মামলার পাঁচ আসামি গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। অন্য চারজন হলেন- এম এ হান্নানের ছেলে রফিক সাজ্জাদ (৬২), ডা. খন্দকার গোলাম সাব্বির আহমদ (৬৪), মিজানুর রহমান মিন্টু (৬৩) ও মো. হরমুজ আলী (৭৩)। পরে ২০১৭ সালর ২৮ মার্চ আব্দুস সাত্তার (৬৪) আত্মসমর্পণ করেন।

পলাতক দুই আসামি হলেন- ফখরুজ্জামান (৬১) ও খন্দকার গোলাম রব্বানী (৬৩)।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, গুম, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১১ জুলাই হান্নানসহ আটজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত তদন্ত কাজ সম্পন্ন করেন।

ওই বছরের ১ অক্টোবর প্রসিকিউশনের আবেদনক্রমে এ মামলার আট আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ওইদিনই ঢাকায় গ্রেফতার হন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ। ময়মনসিংহ সদর ও ত্রিশালে গ্রেফতার হন বাকি তিনজন।

একই বছরের ১৯ মে এমপি হান্নানসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।

মামলায় জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়। পরে তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি হয়েছেন মোট আটজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।