ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হাইকোর্টে প্রতিবেদন: ৫ কোম্পানির পানি মানহীন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৯
হাইকোর্টে প্রতিবেদন: ৫ কোম্পানির পানি মানহীন

ঢাকা: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজারে থাকা অনুমোদিত ৫টি ব্র্যান্ডের বোতল ও জারের পানি মানহীন ও পান উপযোগী নয়।

এ পাঁচ কোম্পানির বিষয়ে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫টি ব্র্যান্ডের (জার ও বোতলের) খাবার পানি পরীক্ষা করে এ প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মো. মোখলেছুর রহমান। আদালতে রিটকারী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. জে আর খাঁন রবিন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান খোকন বলেন, এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বোতল ও জারের পানি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়ে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। এরপর এ পর্যন্ত ১৫টি কোম্পানির পানি পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছি। বিএসটিআই’র এ পানি পরীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা যায়  পাঁচটি ব্র্যান্ডের পানি মানহীন বা পান অনুপযোগী।

এ প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাকি যে কোম্পানির পানি পরীক্ষা করা হচ্ছে সেগুলোর প্রতিবেদনও দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতি দুই সপ্তাহে একবার বাজার থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে বিএসটিআইকে পরীক্ষা অব্যাহত রাখতে বলেছেন হাইকোর্ট।    

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে ৪ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি বিএসটিআই খোলা বাজার থেকে জার ও বোতলের পানি সংগ্রহ করে বিএসটিআই’র ক্যামিকেল টেস্টিং উইং-এ পরীক্ষা করা হয়।

পরীক্ষায় ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার লিমিটেডের ‘ইয়ামি ইয়ামি’, সিনহা বাংলাদেশ ট্রেডস লিমিটেডের ‘এক্যুয়া মিনারেল’, ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের ‘সিএফবি’, ওরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ‘ওসমা’ ও শ্রী কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয় লিমিটেডের ‘সিনমিন’ নামের বোতলের পানি মানহীন এবং পান অনুপযোগী। ’

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আদালতের নির্দেশে বিএসটিআই’র নিজস্ব ২৪টি সার্ভিলেন্স টিম পরিচালনা করে বাজারে থাকা মানহীন, অবৈধ ৩ হাজার ৯৭৯টি পানির জার জব্দ ও ধ্বংস করে। মানহীন পানি অবৈধভাবে বাজারজাত করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ২৪টি মামলাও করা হয়েছে। ’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন আইন, ২০১৮ জারি করা হয়েছে। আইনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের তফসিলভুক্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তফসিলভুক্তির পর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ’

গত বছরের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামের প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৭ মে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার।

পরে এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বাজারে থাকা অবৈধ-অনিরাপদ জার ও বোতলের পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১,২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।