ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জামায়াতের বিষয়ে ফয়সালা হওয়া উচিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০১৯
জামায়াতের বিষয়ে ফয়সালা হওয়া উচিত ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে ফয়সালা (বিচার) হওয়া উচিত বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান।

মঙ্গলবার (০১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
তিনি বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, এর (জামায়াতে ইসলামীর বিচার) ফয়সালাটা হওয়া উচিত।

কারণ, অলরেডি তার (জামায়াত) নিবন্ধন নেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, পর্যবেক্ষণ এসেছে। প্রতিটা জাজমেন্টে এসেছে জামায়াত ক্রিমিনাল অরগানাইজেশন। এটার সুরাহা হওয়া উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। ’

হান্নান খান বলেন, ‘বিচার কেন হচ্ছে না, এটা আমারও প্রশ্ন। এটা প্রসিকিউশনকে জিজ্ঞেস করেন আপনারা। এটা এক সময়ে এতই গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিল আরকি, তার জন্য এই মামলাটির উপর আমাদের চাপ ছিল। আমরা তাড়াহুড়ো করে সেটি তদন্ত করে দিয়েছি ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ। প্রায় পাঁচ বছর হতে চললো। সিইসি অলরেডি কাজ করে দিয়েছে নিবন্ধন বাতিল করে দিয়ে। তাহলে দল হিসেবে বিচার করার জন্য কোথায় বাধাটা আছে? আমরা সবাই চাই। কিন্তু কেন এটা হচ্ছে না আমার জানা নেই। যাই হোক আমরা আপনাদের (সাংবাদিকদের) উপর ছেড়ে দিলাম, আপনারা অনুসন্ধান করে বের করেন, কেন হচ্ছে না। ’

মানবতাবিরোধী অপরাধের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাগুলো দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি না হওয়াতেও হতাশা প্রকাশ করেন শুরু থেকেই তদন্ত সংস্থার দায়িত্বে থাকা পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা।

আপিল বিভাগে মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে হান্নান খান বলেন, ‘আমরা মামলাটির তদন্ত করে দেই। ...... আপিল বিভাগে শত শত মামলা বিচারাধীন। এখন এর মধ্যে এই মামলাগুলোতে যদি ইমপরট্যান্স দেওয়ার সুযোগ থাকে তাহলে সরকার দেবে। এ বিষয়ে আমাদের তো করার কিছু নেই। তদন্ত সংস্থা এ বিষয়ে কিছু করতে পারে না। তবে আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাগুলো নিষ্পত্তির জন্যও সরকারের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। ’

সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে ২২ জনের একটি তালিকা দেন। এ বিষয়ে তদন্ত সংস্থার জ্যেষ্ঠ সমন্বয় সানাউল হক বলেন, ‘আমরা এটুকু বলতে পারি, যাদের নাম বলা হয়েছে তাদের বিষয়ে অনুসন্ধানে বা অন্যান্য মামলার তদন্তের সময় কিছু পাইনি আমরা। এগুলো আসলে নাম দেওয়ার জন্যই দেওয়া হয়েছে। এমন একজনের নাম দিয়ে বলা হয়েছে উনি অমুক ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন। ওই ক্যান্টনমেন্টের সব তালিকা আমাদের কাছে আছে। কিন্তু যার নাম বলা হয়েছে তার নাম নেই। এগুলা হচ্ছে কি, কাদা ছোড়াছুড়ির চেষ্টা’।

‘আমাদের জানামতে যে সাত হাজার লোকের নাম রেকর্ড বুকে আছে বা পাকিস্তান আর্মির অফিসারদের যে দুইশ জনের তালিকা আছে তার মধ্যেও এই তালিকার (রিজভীর দেওয়া ২২ জনের তালিকা) আর্মি অফিসারদের নাম নেই। এই তালিকার তেমন কোনো সত্যতা আমরা পাইনি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১,২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।