ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হত্যা মামলায় বাবা, মা ও ছেলের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
হত্যা মামলায় বাবা, মা ও ছেলের যাবজ্জীবন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাবা, মা ও ছেলে। ছবি-বাংলানিউজ

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্র আব্দুল গণি তুহিন (২৪) হত্যার দায়ে বাবা, মা ও ছেলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।  

সোমবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তর আসামিরা হলেন-কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চরবানিয়াপাড়ার মেজবার রহমান (৬০), তার স্ত্রী রঞ্জনা খাতুন (৫০) এবং তাদের ছেলে রইচ উদ্দিন (২৮)।

তাদের মধ্যে রইচ উদ্দিন পলাতক।  

অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই মামলার অন্য দুই আসামি আবু সাইদ এবং সেলিম রেজাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।  

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, পারিবারিক জমি সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১২ সালের ১ জুন সন্ধ্যায় মেজবার ও তার শরিকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় সেখানে উপস্থিত কলেজছাত্র আব্দুল গণি তুহিন ঠেকাতে গেলে আসামিরা তুহিনকে কুপিয়ে আহত করেন। এ অবস্থায় স্থানীয়রা তুহিনকে উদ্ধার করে হাসপতালে নেওয়ার পথে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বোয়ালদাহ গ্রামের সহিদুল মোল্লা বাদী হয়ে মেজবার ও তার স্ত্রী-ছেলে নাম উল্লেখসহ পাঁচজনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি পরে কুমারখালী থানায় স্থানান্তর করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালে ৮ জানুয়ারি আদালতে ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। আদালত ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য শুনানি শুরু করেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বাবা, মা ও ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের এ সাজা দেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।